অর্ণব আইচ: IAS-এর পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (WEST BENGAL HUMAN RIGHTS COMMISSION) চিফ সেক্রেটারি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ। এবার অভিযুক্ত বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা এক যুবক ও তাঁর স্ত্রী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নদিয়ার (Nadia) পায়রাডাঙার বাসিন্দা সৌভিক দেবনাথ। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? ২০২০ সালে বিয়ে হয় সৌভিকের। বিয়ে পর থেকেই দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। সংসার একেবারেই সুখের হয়নি। ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু তাতেও কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময়ই এক বন্ধুর মারফত বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য দেবনাথের সঙ্গে পরিচয় হয় সৌভিকের। অভিযোগ, বাপ্পাদিত্য নিজেকে পরিচয় দেয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চিফ সেক্রেটরি হিসেবে। বলেন তাঁর স্ত্রী মানবাধিকার কমিশনের স্টেট প্রেসিডেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই এহেন উচ্চপদস্থ কর্তাদের কথা শুনে বিশ্বাস করে নেন সৌভিক।
[আরও পড়ুন: তোলাবাজির লোভেই BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ! সদ্য দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে সরব বাবুল]
সৌভিকের অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদ করানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল বাপ্পাদিত্য। মোট ২ লক্ষ টাকা দেয় পায়রাডাঙার যুবক। বিনিময়ে মানবাধিকার কমিশনের লোগো দেওয়া একটি চালানও দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর প্রায় ১৫ দিন ধরে কোনওভাবেই বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি সৌভিক। অভিযোগ, রবিবার সৌভিককে মারধর করে বাপ্পাদিত্যের সাগরেদরা। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারিত হয়েছেন। সোমবার বাঁশদ্রোণী থানায় গোটা বিষয়টি জানান সৌভিক। কার্যত দেবাঞ্জন কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন তিনি। অভিযুক্তদের হদিশ পেতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ভুয়ো আমলা দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। প্রশাসনের চোখের সামনে এমন প্রতারণার ফাঁদ বিস্তার করেছিল সে , যা তদন্তকারীদের অবাক করেছে। সোমবার নবান্ন থেকে দেবাঞ্জন ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।