অর্ণব আইচ: দেড় লক্ষ টাকা বিমার বদলে ১৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ।! ফাঁদে পা দিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে কখনও মোবাইল অন করে, আবার কখনও বা মোবাইল বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শেষে দক্ষিণ কলকাতার উপকণ্ঠ মহেশতলায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই মধ্য কলকাতার বউবাজার থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই যুবক আসলে আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা হলেও কলকাতায় থাকতেন মহেশতলায়। বউবাজার এলাকার এক বাসিন্দা একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পেতেন। তিনি ওই টাকা পাওয়ার জন্য সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগও করেন। সংস্থাটির কয়েকজন কর্মচারীর মাধ্যমেই সায়ন সেই খবর পায়। এর পরই নিজেকে বিমা সংস্থার কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁকে বলে, বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ১৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ওই টাকা পেতে চাইলে তাঁকে আদালতের নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র বাবদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ও ই ওয়ালেটে ওই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেন। এর পর তাঁর হোয়াটস অ্যাপে সায়ন ১৩ লক্ষ টাকার একটি ভুয়ো চেকের ছবি পাঠায়। ওই ব্যক্তি অপেক্ষা করে থাকেন, কবে তিনি ওই চেকটি পাবেন। কিন্তু এর পর থেকেই সায়ন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পটচিত্রে দেবী দুর্গা, শত অভাবেও পট এঁকেই দিনযাপন কৃষ্ণনগরের বৃদ্ধা শিল্পীর]
এর পর ওই ব্যক্তি বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখে, কখনও সে মোবাইল চালু রেখে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। পরক্ষণেই বন্ধ করে দিচ্ছে মোবাইল। শেষ পর্যন্ত মোবাইলের সূত্র ধরেই পুলিশ মহেশতলায় তার ঠিকানার সন্ধান পায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে, তার স্ত্রী সেখানে থাকেন। ওই বাড়ির উপর পুলিশ নজর রাখতে শুরু করে। রবিবার মহেশতলায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সে। হাতেনাতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই জালিয়াতির সঙ্গে আরও অন্তত তিনজন জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অভিযোগ। তাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।