অর্ণব আইচ: কলকাতার নাইটক্লাবে ‘ফূর্তি’র রসদ শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা বাঁদর। এমনই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, টিনা মুখোপাধ্যায়, অনামিকা চক্রবর্তীরা। সেই ঘটনায় এবার অভিযোগ দায়ের হল শেক্সপীয়র সরণি থানায়।
পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ভিত্তিতে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুপ্রিয় চক্রবর্তী। ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার। হো চি মিন সরণির ‘টয়রুম’ নামের এক নাইটক্লাবে সার্কাস থিমের পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায় শিকল দিয়ে বাঁধা কচি বাঁদরছানাদের। দিব্যি ছন্দের তালে নাচছে। আবার কখনও বা ক্লান্ত চোখেমুখে ঝিমিয়ে পড়ছে। পানশালায় আগত মোচ্ছবী মানুষেরাও আদর করে দেদার টানাহেঁচড়া করছে। শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থায় শিশু বাঁদরগুলোর উপর অত্যাচার করার অভিযোগও ওঠে ওই নাইটক্লাবে আগত অতিথিদের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: সাতসকালেই যেন সন্ধে! প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে নামল তাপমাত্রা, স্বস্তি কলকাতায়]
এমন কাণ্ড-কারখানা দেখে নিন্দার ঝড় বয়ে যায় নেটপাড়ায়। প্রতিবাদে মুখর হন পশুপ্রেমীরাও। “আপনারা যদি ভেবে থাকেন একটি অসহায় বাঁদরছানাকে ব্যবহার করে আপনাদের সার্কাস থিম পার্টিকে আরও কুল করে তুলবেন, তাহলে আমি দুঃখিত! অত্যন্ত লজ্জার বিষয়”, লেখেন অনিন্দ্য। ভিডিও শেয়ার করে স্বস্তিকা প্রশ্ন তোলেন, “…কতটা নিচে নামতে পারে? যে লোকগুলো পার্টিতে গিয়ে এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁদের কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল? সেই সময় কেউ থামায়নি? মানুষের সমস্যাটা কী?”
এই ঘটনার সাফাই দিয়ে টয়রুম কলকাতার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে জানানো হয়েছে, বাঁদরছানা বা মাদারিকে আনার নেপথ্যে নাইটক্লাবের কোনও ভূমিকা নেই। মাদারি ক্লাবে ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ফলে তিনি বাঁদরছানা নিয়ে মলের সামনে বসেছিলেন। বাঁদরছানাদের কোনওরকম আঘাত বা নিগ্রহ করা হয়নি। টয়রুম কলকাতার কর্তৃপক্ষও বাকি সকলের পশুদের প্রতি সংবেদনশীল।