সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় নজিরবিহীন ঘটনা। ২৮ ঘণ্টা পরও জ্বলছে নিউ বারাকপুরের (New Barrackpore) গেঞ্জি কারখানা ও ওষুধের গুদামের আগুন এখনও জ্বলছে। রোবট নামিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও তেমন লাভ হল না। এখনও বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকে রয়েছেন চারজন। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তাও জানা নেই। দমকল কর্মীরা বিল্ডিংয়ের একটি অংশ ভেঙে ফেলেছেন। ভাঙা হয়েছে জানলার কাচ। তা সত্ত্বেও কারখানার ভিতরে ঢুকতে ব্যর্থ দমকল কর্মীরা। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায়, দাউদাউ আগুন নেভার বদলে বারবার জ্বলে উঠছে। যদিও দমকলের দাবি, শুক্রবার ভোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কোথাও কোথাও পকেট ফায়ার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিউ বারাকপুরের বিলকান্দা এলাকায় এক গেঞ্জি কারখানায় আগুন (Fire) লাগে। কারখানার পিছনের দিকে ছিল এক বেসরকারি হাসপাতালের গুদাম। সেখান মজুত প্রচুর পরিমাণ মেডিক্যাল সরঞ্জাম অর্থাৎ ডায়াপার, স্যানিটাইজার, বেবি ফুড। এসবই অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিতরে চারজন আটকে পড়েন। এদিন চারজনের পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। আটকে থাকা কর্মী সুব্রত ঘোষ, তন্ময় ঘোষ চাকদহের বাসিন্দা, অমিত সেন হরিণঘাটা এবং স্বরূপ ঘোষ অশোকনগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কী অবস্থা, তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হওয়ার পর চোখে সমস্যা, এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের মহিলা]
এত বড় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত নিজে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে অগ্নিনির্বাপণের তদারকি করেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নেভাতে শেষ পর্যন্ত নামানো হয়েছে রোবট। এভাবে অগ্নিনির্বাপণের কাজ সাম্প্রতিককালে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রথম। তবু গোটা একটা দিন পেরিয়ে গেল, প্রায় ২৪ টি ইঞ্জিনের সাহায্য নিয়েও আগুন সম্পূর্ণ আয়ত্তে আনা গেল না। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। তাই সেই কাজে এতটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে দমকল কর্মীদের। তবে আগুনের দাপট দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় নিশ্চিত, যে চারজন কারখানার ভিতরে আটকে রয়েছেন, তাঁদের কাউকেই আর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।