shono
Advertisement

ফের কক্সবাজারের শিবিরে আগুন, আতঙ্কে উখিয়া থেকে ভাসানচর গেলেন সাতশোর বেশি রোহিঙ্গা

ভাসানচরে এখনও পর্যন্ত ২১ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
Posted: 01:31 PM Jan 10, 2022Updated: 01:31 PM Jan 10, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক। রবিবার সন্ধের দিকে উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে গিয়েছে কয়েকশো ঘর। দমকলের ৮টি ইঞ্জিনের প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে প্রাণহানির খবর নেই। কীভাবে আগুন লাগল, তাও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, উখিয়ার ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেই শনিবার ঘুরে গিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর ১৬ নং শিবিরে আগুনের ঘটনা। অন্যদিকে, রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে আবার নোয়াখালির দ্বীপ ভাসানচরে পাঠানো হল আরও ৭০৫ জন রোহিঙ্গা (Rohingya) মুসলিমকে।

Advertisement

মাস খানেক আগে কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে আগুন লাগে। হাসপাতালের বেড, ফ্রিজ, অক্সিজেন সিলিন্ডার পুড়ে ছাই হওয়ার পাশাপাশি ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই সেন্টারটিতে ৪ জন করোনা ও ২ জন ডেঙ্গু রোগী-সহ ১২ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে রবিবারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিশেষ কিছু এখনও জানা যায়নি। কয়েকশ ঝুপড়ি একেবারে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধি ১১৫ শতাংশ! করোনার জোরাল কামড় বাংলাদেশে]

ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁরা। ফলে উখিয়া ত্যাগ করে ভাসানচরের দিকে যাওয়ার ঝোঁক বাড়ছে। এই ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে স্থায়ী শিবির গড়া হয়েছে। এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর ৫৫০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ত্যাগ করার পর ১৮ তারিখ ভাসানচর পৌঁছান। কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সরকারের সিদ্ধান্তে উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্প থেকে প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। কাউকে জোর করে নয়, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানানোর পর যাঁরা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হচ্ছেন, তাঁদেরই নির্ধারিত দিনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নিয়ে ঢাকার উপর চাপ ইস্তাম্বুলের, উখিয়ার শিবির ঘুরে গেলেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরের অধিবাসী হয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার (Myanmar) সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। এসব এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ প্রশাসন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement