সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক৷ চূড়ান্ত অচলাবস্থায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হাসপাতাল চত্বরে৷ কোনওক্রমে ২৫০ রোগীকে উদ্ধার করা হলেও রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ কালো ধোঁয়া ও আগুন আতঙ্কের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন রোগী৷ স্যালাইন, অক্সিজেন খুলে রেখেই রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে রোগীদের৷ কোথায় কীভাবে তাঁদের চিকিৎসা করানো হবে, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না রোগীর পরিবারের সদস্যরা৷ অন্যদিকে, এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ মেডিক্যাল স্টোরে আগুনের জেরে কমপক্ষে একমাসের ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ আগুনে ৮০ শতাংশ ওষুধ ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়তে পারে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে৷
[মেডিক্যাল কলেজে বিধ্বংসী আগুন, হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক]
ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীর আত্মীয়রা৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিললেও উদ্ধারের পর রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ হাসপাতাল চত্বরে অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে চরম ক্ষোভ রোগীর পরিজনদের মধ্যে৷ গোটা বিল্ডিংটিই অত্যন্ত নোংরা বলে অভিযোগ তুলেছেন রোগীদের পরিবারের সদস্যরা৷ রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ অপরিচ্ছন্নতার জন্যই আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পেরেছে, ওষুধের দোকানে রাসায়নিক বর্জ্য জমা হয়ে থাকাই আরও বেশি পরিমাণ কালো ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে৷ হাসপাতাল কর্মী ও নার্সিং স্টাফদের তৎপরতায় রোগীদের উদ্ধার করে নামানোর চেষ্টা করা হলেও তাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ছে ক্ষোভ৷ তিন তলা ভবন থেকে রোগীদের নামিয়ে এনে জরুরি বিভাগের পাশে জলের ট্যাংকের উপর ফেলে রাখতে হয়েছে৷ সেখানে তাদের দেখভালের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি৷ আপাতত রোগীদের নিয়ে অথৈ জলে পরিবারের সদস্যরা৷ কখনও ট্রলিতে করে, কখন বিছানার চাদরে মুড়িয়ে হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে রোগীদের মানিয়ে আনা হয়েছে৷ ২৫০ জন রোগীকে নামিয়ে আনা সম্ভব হলেও তাঁদের মধ্যেই বেশ কয়েকজনের অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্য ওয়ার্ডে ভরতি করানো হচ্ছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্য হাসপাতালে ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত কারার কাজ চলছে৷
[বাংলা হোক বা উর্দু, সবচেয়ে ভাল শিক্ষা দেন রাজ্যের শিক্ষকরাই: মুখ্যমন্ত্রী]
এদিনের এই আগুন আতঙ্ক প্রসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল মাঝি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে৷ স্টাফদের তৎপরতায় রোগীদের উদ্ধার করা হয়েছে৷ আমি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি৷ যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷’’ এদিনের এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল৷ দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুনের উৎসস্থল কুলিং ডাউন করার চেষ্টা করা হয়েছে৷
The post মেডিক্যালে আগুন: অব্যবস্থায় ক্ষোভ রোগীর পরিজনদের, একমাসের ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.