সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল গার্ডেনরিচের FCI গোডাউন। ঘটনার ২২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ নেভেনি আগুন। পকেট ফায়ারগুলি থেকে যাতে আর কোনওভাবে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্যই আপাতত কাজ করছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।
শনিবার সকালে তারাতলা রোডের হনুমান মন্দিরের কাছের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Massive Fire) ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় এক গুদাম থেকে অন্য গুদামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় ১২-১৪ টি গোডাউন। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। দমকলের প্রায় ২২টি ইঞ্জিনের তৎপরতায় সন্ধের দিকে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে এখনও বেশ কিছু স্থানে ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। আর এই পকেট ফায়ারগুলিকে সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলাই এখন প্রধান লক্ষ্য দমকল কর্মীদের। তবে কোথায় কোথায় এমন পকেট ফায়ার রয়ে গিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে গ্যাস কাটারের সাহায্য় নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে কুলিং ডাউন প্রক্রিয়া চালু করা হবে। যাতে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলেই অনুমান করছে দমকল বাহিনী।
[আরও পড়ুন: WB Bypolls: অন্য জেলার নেতাদের ভবানীপুরের দায়িত্ব কেন? ক্ষুব্ধ বিজেপির একাংশ]
শনিবার সন্ধেয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও। দমকল মন্ত্রীর কথায়, “এখানে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। সকলকে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি বারবার। শুধু জায়গা ভাড়া দিলে হবে না। তার সঙ্গে সেই জায়গার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। কোথা থেকে আগুন লেগেছে জানতে ঘটনার নির্দিষ্ট তদন্ত হবে।” পাশাপাশি এও জানান, ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি ঠিকই, কিন্তু অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিমতলা ঘাটের পর ডানকুনির ব্যাটারি কারখানা এবং তারপরই গার্ডেনরিচের (Garden Reach) গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরবাসীর। কেন বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে না, কেন প্রশাসন এ বিষয়ে আরও কড়া হচ্ছে না, সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।