সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দু’টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল মুম্বইয়ে। বৃহস্পতিবার চেম্বুরের ১৬ তলার একটি বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। তিলক নগরের গণেশ গার্ডেনের কাছে এই বহুতলের নাম সরগম সোসাইটি। আর তারপর, ভোররাতে আগুন লাগে থানের ভিওয়ান্দির একটি গুদামে। সরগম সোসাইটি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভিওয়ান্দি থেকে এখনও কোনও খবর মেলেনি। সেখানে পৌঁছেছে দমকল। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই লেগেছে আগুন। তবে এখনও এনিয়ে দমকলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মুম্বইয়ের ডেপুটি সিএফও ভি এন পাণিগ্রাহী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ৭টা ৪৬ মিনিটে তাঁদের কাছে ফোন আসে। তখনই দমকলের ৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। সঙ্গে ছিল একটি ওয়াটার ট্যাঙ্ক। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠানো হয় অ্যাম্বুল্যান্সও। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তবে উদ্ধারকাজ এখনও শেষ হয়নি। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আহত দু’জন। তাঁদের রাজওয়াড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অফিসাররাও।
[ স্কুল-হাসপাতাল দখল গরুদের! আশ্রয়ের ব্যবস্থায় তৎপর প্রশাসন ]
রাজওয়াড়ি হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর আগুনে পুড়েই মারা গিয়েছেন। চিকিৎসার জন্য যাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন দমকলকর্মী। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আপাতত তাঁরা সুস্থ আছেন। বাকিদের অবস্থাও অপেক্ষাকৃত ভাল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে মৃতদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মৃতদের নাম- সুনীতা জোশী (৭২), বালচন্দ্র জোশী (৭২), সুমন শ্রীনিবাস জোশী (৮৩), সরলা সুরেশ গাঙ্গর (৫২) ও লক্ষ্মীবেন প্রেমজি গাঙ্গর (৮৩) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সুনীতা জোশী হলে ভিখরোলি থানার ইন-চার্জ শ্রীনিবাস জোশীর মা।
১৬ তলার ওই বিল্ডিংয়ে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি দমকল কর্তৃপক্ষ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বহুতলের সার্কিট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।
[ বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ সংশোধিত তিন তালাক বিল ]