shono
Advertisement

১৪ ঘণ্টা পরও জ্বলছে ট্যাংরার গুদামের আগুন, ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

নগরপাল বিনিত গোয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসতে পারেন।
Posted: 09:02 AM Mar 13, 2022Updated: 11:44 AM Mar 13, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিকাণ্ডের পর ১৪ ঘণ্টা পার। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি ট্যাংরার বিধ্বংসী আগুন। আশপাশের বহুতল থেকে জল দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। আতঙ্কে প্রায় সারারাত ঘরের বাইরেই কাটিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

চামড়া, রেক্সিন, রাসায়নিক পদার্থ – সবই দাহ্য। ফলে ট্যাংরার (Tangra) মেহের আলি লেনে চামড়ার গুদামের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা যতখানি ভাবা হচ্ছিল, তার চেয়ে অনেকটাই বেশি আকার ধারণ করে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের (Fire Engines) সাহায্যে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন কর্মীরা। ভেঙে পড়েছে গুদামের পাঁচিলের একাংশ। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পরে তিনি জানান, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষতিগ্রস্ত গুদামের দেওয়ালটি ভেঙে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: কংগ্রেসমুক্ত দেশ গড়তে বিজেপি-তৃণমূলের গোপন আঁতাত! অধীরের অভিযোগের সপাট জবাব কুণালের]

আসলে এই দেওয়ালটির গা ঘেঁষেই রয়েছে রাস্তা। ফলে যে কোনও মুহূর্তে দেওয়ালটি ভেঙে পড়লে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সেই কারণেই তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগুন সম্পূর্ণ না নিভলে দেওয়াল ভাঙার কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। তাই দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ৭টি ওয়াটার জেট দিয়ে অগ্নি নির্বাপন করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে রাতের ঘুম ওড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আশপাশের বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে যেতে পারে আগুন। এই ভয়ে অনেকেই ঘরের বাইরে রাত কাটান। যদিও দমকল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন বিশেষ ছড়ায়নি। তবে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনো কঠিন হওয়ায় এখনও পকেট ফায়ারগুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা।

শনিবার রাতে আগুন ভয়াবহ আকার নিলে প্রচণ্ড তাপে গুদামের কাচ ভাঙে। ভেঙে যায় পাঁচিলের একাংশও। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনজন দমকল কর্মী জখমও হন। তবে জানা গিয়েছে, দমকল দেরিতে পৌঁছনোয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মারধর করেন কয়েকজন কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। আজ, রবিবার নগরপাল বিনিত গোয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসতে পারেন। পাশাপাশি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পারেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘কায়দা’ করে জিতেছিলেন শুভেন্দু! একুশের ফলাফল নিয়ে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ-রাজীবদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement