সুকুমার সরকার, ঢাকা: চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেনার ডিপোর স্মৃতি উসকে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের পাঁচজনের। তার মধ্যে দুই নাবালকও রয়েছে। আহত হয়েছেন একজন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
চট্টগ্রামের রাঙুনিয়ায় বসতবাড়িতে আগুন (Fire) লাগে। ঘুমের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মহাজনপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৮ বছরের কাঙাল বসাক, ৫৭ বছরের ললিতা বসাক, বছরের তেত্রিশের লাকি বসাক ও তাঁদের ১২ ও ৬ বছরের সৌরভ এবং সায়ন্তী বসাকের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ, সোমবার নতুন করে ঝালদা পুরপ্রধান নির্বাচনের নির্দেশ হাই কোর্টের]
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন আধিকারিক মহম্মদ কামরুজ্জামান সুমন পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে দমকলের পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। যখন আগুন লাগে, তখন পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দরজা ভেঙে একজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেন। বাড়িতে পাঁচটি কক্ষ থাকায় কে কোন কক্ষে শুয়ে ছিলেন, সেটা শনাক্ত করা কঠিন ছিল। ভোররাত ৪ টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের আধিকারিক জানান, ওই বাড়ির রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে মহিলা হস্টেলে দুষ্কৃতী হানা! নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা]
স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সেনের বক্তব্য, ঘরের দরজার সামনে রাখা একটি সিএনজি অটো রিকশাও পুড়ে গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার (Gas Cylinder) বিস্ফোরিত হয়ে আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে ঘুমন্ত কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাঙুনিয়া থানার ওসি মেহবুব মিল্কি জানান, বসতঘর সংলগ্ন নিহতদের নিজেদের রান্নাঘরই আগুনের উৎস। সেখানে থাকা বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের সামনে রাখা একটি সিএনজি অটোরিক্সাও পুড়ে গেছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।