সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মান্দালয়ে সেনার গুলিতে সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটেছে মায়ানমারে (Myanmar)। শুক্রবারও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। আর এবারও নিরীহ জনতার উপর ভীম বিক্রমে গুলি চালিয়ে চার জন প্রতিবাদীকে খুন করল নিরাপত্তারক্ষীরা। এর আগে শুক্রবার ইয়াঙ্গনে নেত্রী আং সান সু কি’র দলের সদর দপ্তরে বোমাবাজি করে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় তাণ্ডব চালাল একের পর এক বিধ্বংসী টর্নেডো, অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু]
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালায় সেনা। মধ্য মায়ানমারের এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার বিক্ষোভকারীর। ‘অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৮৬ জন প্রতিবাদীর। যদিও টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার মুখপাত্র অবশ্য দু’দিন আগেই সরকারি টিভি চ্যানেলে সেই সংখ্যা অর্ধেক বলে দাবি করেছেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আজ শুরু থেকেই বিভিন্ন শহরে মারমুখী ছিল পুলিশ। মান্দালয়, মোনিওয়া, ইয়াঙ্গনে অসংখ্য বিক্ষোভকারী গুলিতে আহত হয়েছেন। অনেককেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে।
এদিকে, গণতন্ত্রের দাবি বিক্ষোভ থামাতে ও সু কি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র উপর নানা কৌশলে চাপ সৃষ্টি করছেন সেনাশাসকরা। শুক্রবার ইয়াঙ্গনে নেত্রী আং সান সু কি’র দলের সদর দপ্তরে বোমাবাজি করে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা। ফলে আগুন ধরে যায় বিল্ডিংটিতে। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরে রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সেনার হাতে বন্দি নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।