সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেলে স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের সদর কার্যালয় পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। সেখান থেকে কার্যত বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ড ও মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যকেই। দাবি করলেন, দমকলের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকার কারণেই আগুন আয়ত্তে আনতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সন্ধে ৬.১৫ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় পূর্ব রেলের সদর কার্যালয়ে আগুন লাগে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। যান দমকলমন্ত্রীও। মোট দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। প্রায় ১০ পাঁচ ঘণ্টা জ্বলে গোটা বিল্ডিং। আগুনকে আয়ত্তে আনতে গিয়ে দমকল কর্মী ও পুলিশ-সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আক্ষেপ করেন, নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের মানচিত্র পাওয়া গেলে অনেক আগে আগুন নেভানো যেত। রেলের কাছে মানচিত্র চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে সেখানে রেলের আধিকারিকদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিকে রেলের মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। পরবর্তীতে বিজেপি নেতারাও রেলের গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। দাবি করেন, দমকল দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: ‘গড়’ ধরে রাখতে পারবে অধিকারীরা? কী বলছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভোটচিত্র]
কেন্দ্র-রাজ্য এই টানাপোড়েনের মাঝে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল। বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি। এরপরই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্যকে দায়ী করেন ধনকড়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রেলের আধিকারিকরা ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই গিয়েছিলেন। কিন্তু দমকল অনেকটা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন ছড়িয়েছে। এছাড়া দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় সরজ্ঞাম না থাকায় এই প্রাণহানির ঘটনা।” এই মন্তব্যের জেরে ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্যপাল, তা বলাই বাহুল্য।