কৃষ্ণকুমার দাস: বিজয়া দশমীতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখে বাংলা দখলে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। লিখেছিলেন, “লক্ষ্য এবার একুশের বিধানসভা, আমাদের সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতেই হবে। সময় এসেছে যখন আমাদের এক সূত্রে গ্রথিত হয়ে সমবেত কণ্ঠে সংকল্প গ্রহণ করে বলতে হবে যে, ‘করব মোরা লড়ব মোরা সোনার বাংলা গড়ব মোরা’।”
এই চিঠি প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা জবাব দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিজেপিকে (BJP) আজকের রাজনীতিতে ‘করোনা’ বলে উল্লেখ করে তাঁর শ্লেষ, ‘করোনা’ বধের মতোই বাংলা থেকে বিজেপিকে তাড়াবেন মা দুর্গা।
[আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে’, বিজয়ায় সহকর্মীদের খোলা চিঠি দিলীপের]
করোনা কালে আড়ম্বরহীন বিসর্জন। কোনও শোভাযাত্রা নয়, নয় জমায়েত। স্রেফ প্রতিমা তুলে এনে ঘাটে বিসর্জন। সরকারি বিধি মেনে তা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, দেখতে সোমবার বাবুঘাটে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেও লাগল রাজনীতির হাওয়া। বাবুঘাট থেকে আবারও বিজেপিকে এক হাত নিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ”রাজনীতিতে সত্যিকারের ‘করোনা’ (Coronavirus) হল বিজেপি। এ যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়, তত বাংলার মঙ্গল। মা দুর্গার কাছে অসুর যেমন থাকে, মা দুর্গা অশুভ শক্তিকে যেমন বধ করে, ঠিক সেইভাবে একদিন করোনা বধ হবে।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আজকের দশমীর দিন দেবী দুর্গার কাছে তাঁর প্রার্থন, করোনা বধের মতোই বাংলা থেকে বিজেপিকে তাড়ান।
[আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া দাম, দশমীর মিষ্টির বাজারে দুধ যেন ডলার বা সোনা]
এছাড়া বিজেপি অস্ত্র পুজো নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, বিজেপির অস্ত্র পুজোকে কেন্দ্র করে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা একেবারে সমুচিত। প্রশ্ন তুলেছেন, ”অস্ত্র পুজো কেন? পুজো করার পর তা দিয়ে কাউকে মারার চেষ্টা করা হবে কি?” এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, মা দুর্গার কাছেও অস্ত্র থাকে, তবে তা কৃত্রিম। কিন্তু বিজেপি সবসময় অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা, হামলা, মারামারির চেষ্টা করে, যা তীব্র নিন্দনীয়।