অভিরূপ দাস: সান্ধ্য ভ্রমণ করতে গিয়ে পার্কে ময়লা কুড়োলেন মেয়র। সম্প্রতি এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সান্ধ্য ভ্রমণ করতে চেতলা পার্কে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে দেখেন যত্রতত্র চিপসের প্যাকেট, ঠান্ডা পানীয়ের বোতল পড়ে। দ্রুত তা কুড়োতে শুরু করেন। মেয়রকে এ কাজ করতে দেখে হকচকিয়ে যান পার্কের সহনাগরিকরা। মেয়র জানিয়েছেন, "পার্কের মধ্যে যে যা খাচ্ছেন প্যাকেটটা ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। দেখে এত খারাপ লাগলে। তুলে তুলে ডাস্টবিনে ফেললাম। হাঁটতে গিয়ে ইভিনিং ওয়াক কম করলাম। কাগজ কুড়ুনির কাজ বেশি করলাম।’’
[আরও পড়ুন: বনগাঁ লোকালে সিটের নিচ থেকে একটানা ‘হিস হিস’ শব্দ! ব্যাগ খুলতেই চক্ষু ছানাবড়া]
এ সমস্যা শুধু চেতলা পার্কের সমস্যা নয়। সব পার্কেই হচ্ছে। রবীন্দ্র সরোবরেও এক অবস্থা। মেয়র হয়ে এই কাজ কেন করতে হল? ফিরহাদের আফশোস, মানুষের সচেতনতা কম। প্লাস্টিক কুড়িয়ে ফেলতে গিয়ে দেখলাম কয়েক পা অন্তর ডাস্টবিন। তাও কেউ সেখানে ময়লা ফেলছে না। এই বর্ষায় যত্রতত্র ময়লা ফেললে আশঙ্কা রয়েছে ডেঙ্গুরও। ফেলে দেওয়া আইসক্রিমের কাপ, থার্মোকলের বাটিতে জল জমে ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইজিপ্টাইয়ের জন্ম হয়।
শহর কলকাতার চিন্তা বাড়িয়েছে পরিত্যক্ত জমি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এমন একাধিক জমি রয়েছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এই সমস্ত জমি দেওয়াল ঘেরা। কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশ সকালের ময়লার গাড়িতে ময়লা না ফেলে এই সমস্ত পরিত্যক্ত জমিতে ফেলে দেন। বেহালার শীলপাড়া থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ করেছেন রীনা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "জমিটা জঙ্গলাকীর্ণ। দিনের বেলা বাঘ ঢুকে থাকলেও বোঝা যাবে না। বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গু সংক্রমণের আতঙ্কে আছি। পরিস্কার করে দিন।’’
[আরও পড়ুন: শুধু বিরোধীরা নন, নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির নীতীশ কুমারও, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]
ক্ষুব্ধ ফিরহাদ জানিয়েছেন, গত বছরই জমিটা পরিষ্কার করেছিলাম। এক বছরও হয়নি, ফের জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী কারও ব্যক্তিগত জমি পুরসভা পরিষ্কার করলে পরিচ্ছন্নতা বাবদ একটা চার্জ জমির মালিকের নামে অ্যাসেসমেন্টে যোগ হয়ে যায়। এদিন পুর স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতি ফিরহাদের নির্দেশ, "কলকাতাজুড়ে এমন যত ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অপরিস্কার-নোংরা জমি রয়েছে তাদের মালিকদের নামে মিউনিসিপ্যালিটি কোর্টে কেস করুন। কোর্ট অবধি টেনে না আনলে এদের টনক নড়বে না।