ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শহর সংলগ্ন এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু তার চেহারা নগরজীবনের মতোই। সেই এলাকাতেও উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘সেমি আরবান’ বা নতুন নগর পরিকল্পনা নীতি আনা হচ্ছে বলে জানাল নগরোন্নয়ন দপ্তর। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
শহরের পাশেই শহরতলি (Town)। তার পাশে পঞ্চায়েত এলাকা। কিন্তু নগরজীবনের মান বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেতু, রাস্তা, পরপর উঁচু ইমারত গড়ে উঠছে। চেহারা দেখে পুরসভা এলাকা নাকি পঞ্চায়েত (Panchayet) এলাকা, বোঝা যায় না। অথচ, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি বা জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থাপনা প্রকৃত শহরাঞ্চলের মতো নয়। নগরায়নের এই বড় সমস্যা নিয়ে এদিন বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন কান্দির বিধায়ক (MLA) অপূর্ব সরকার। কোন কোন এলাকায় তা হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই নতুন নগর পরিকল্পনার কথা জানান। যাকে ‘সেমি আরবান’ নীতি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের পর গর্ভপাত অন্তঃসত্ত্বার , মৃত ভ্রূণ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাল পরিবার]
বিধানসভায় (Assembly) আলোচনা প্রসঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘শহর বা গ্রামের পুর এলাকা সংলগ্ন এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা পঞ্চায়েতের আওতাধীন। কিন্তু সেখানেও শহরের মতো নগরায়নের ছাপ স্পষ্ট। একের পর এক জনবসতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা কিংবা জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থাপনা তৈরি করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে সেইসব অঞ্চলের পরিবেশ আগামী দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা বিশেষ নীতি আনতে চাইছি।’’
[আরও পড়ুন: বাংলা মন্ত্রে পুষ্পাঞ্জলি দিলে কোনও দোষ হয়? কী বললেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী]
ফিরহাদ হাকিমের প্রস্তাবিত এই নীতি তৈরি হয়ে গেলে শহর সংলগ্ন ওইসব পঞ্চায়েত এলাকাতেও আধুনিক শহরের মতোই পরিষেবা দিতে কোনও বাধা থাকবে না। সেই বিশেষ ‘সেমি আরবান ল্যান্ড ইউজ পলিসি’-র সাহায্যেই এই পদক্ষেপ সম্ভব বলে জানান মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কেএমডিএ-কে এনিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেইমতো বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।