ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্রীয় সংস্থার চাপের কাছে মাথা নোয়াবেন না। আমৃত্যু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ছাড়বেন না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর প্রশ্ন, “আমার বাড়িতেও তো এসেছিল (কেন্দ্রীয় এজেন্সি)। কী পেয়েছে?” এর পরই মেয়রের খোঁচা, “ভয় দেখাবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাব? না, মৃত্যু পর্যন্ত থাকব।”
মঙ্গলবার বিধানসভায় পেশ ন্যায় সংহিতা বিরোধী প্রস্তাব। আর এই প্রস্তাবের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন,”আমরা তো সবাই রাষ্ট্রদ্রোহী। কারণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বলি আমরা।” এর পরই তাঁর খোঁচা,”আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর শাহ বলছেন আরও সতর্ক থাকতে হবে। যাতে বিরোধিতা মাথা না তুলতে পারে। দাসত্ব কায়েম হয়। এই আইন পাস (ন্যায় সংহিতা) হলে বলবে ফর দি পুলিশ বাই দি পুলিশ অফ দি পুলিশ। এই দিয়ে দমন হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘তৈলমর্দন করলেই পছন্দের জায়গায় পোস্টিং দেন!’ DPSC-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির]
এই আলোচনা চলাকালীন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দেশের সংবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এটা দানবিকতা। মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেবে। ১৭২ ধারা অনুযায়ী দেশে পুলিশ রাজ কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে।” একই সুর শোনা গিয়েছে আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কলোনিয়ালিজমকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে কি? না। এর প্রকৃতিকে আরও বেশি গেরুয়াকরণ করা হচ্ছে। এই সংহিতার মাধ্যমে কি সমঅধিকারকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে? আরও দানবিক করা হচ্ছে এই পরিস্থিতিকে। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন তুলে দেওয়া হল।” উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলবে।