অভিরূপ দাস: চব্বিশের লোকসভা ভোটযুদ্ধে হেরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বিজেপির অনেক নেতার কাছেই যা অবিশ্বাস্য। দিলীপের এই হারে মন খারাপ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও! গল্পের মতো লাগলেও এটাই সত্যি। বুধবার পুরসভায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন মেয়র। ফিরহাদ বলেন, "দিলীপদার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। ওঁর জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।"
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর (Medinipur Lok Sabha) কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন দিলীপ। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে মেদিনীপুর থেকে টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির। বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman–Durgapur Lok Sabha constituency) লোকসভা আসনে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। বিপক্ষে প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। অচেনা ময়দানে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১ লক্ষ ৩৭ হাজারেরও বেশি ভোটে কীর্তির কাছে হারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মুখ ফিরিয়েছে জনতা, গণদেবতার রোষে অনিশ্চিত যে নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ]
বুধবার, দিলীপের (Dilip Ghosh) হার নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "এই পরাজয় নিয়ে আমার বলা সাজে না। এটা বিজেপির অভ্যন্তরীন বিষয়। কিন্তু যেদিন বিজেপির কেউ ছিল না সেদিন দিলীপ ঘোষ ছিলেন।" স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের এই হার মানতে পারছেন না তাঁর অনুগামীরাও। কেন হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ? কে তাঁকে মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে বদলি করলেন? কী কারণে এই ফলাফল? তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বিজেপির অন্দরেও। কারও নাম না করে খোঁচা দিয়ে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, "বাইরের কেউ এসে দলে ছড়ি ঘোরাবে। আর দিলীপ ঘোষ যিনি দলের পুরনো কর্মী, তিনি সাইড লাইনে চলে যাবেন। এটা মানা যায় না। এটা যে কোনও দলেরই পুরনো কর্মীদের খারাপ লাগার বিষয়।"