সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ইডির বিরুদ্ধ বিস্ফোরক অভিযোগ ‘কালীঘাটের কাকু’র সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। তাঁদের দাবি, তল্লাশির নামে সংস্থার কম্পিউটারে এভিডেন্স প্ল্যান্ট অর্থাৎ প্রমাণ প্রতিস্থাপন করেছেন ইডির আধিকারিকরা। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
সোমবার আলিপুরের একটি সংস্থা-সহ কালীঘাটের কাকুর একাধিক ঠিকানায় রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলেছে সেই তল্লাশি অভিযান। প্রায় ১৮ ঘণ্টার সেই তল্লাশিতে নাকি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কে একাধিক অসঙ্গতি পাওইয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। কিন্তু এবার ইডির (ED) বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ আনল কালীঘাটের কাকুর সংস্থা।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের ফল বদলের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরে শর্তসাপেক্ষে জামিন]
লালবাজার সাইবার ক্রাইম শাখায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস দাবি করেছে, ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চলাকালীন তাঁদের কম্পিউটারে এমন ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন, যা ওই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ওই সংস্থা কোনওভাবেই ওই ১৬টি ফাইলের সঙ্গে যুক্ত নয়। উল্লেখ্য ইডির দাবি, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব ছিলেন তিনি। এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
[আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সম্মান করতে শিখুন’, ব্রিকসের মঞ্চে জিনপিংকে বার্তা মোদির]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, ইডি যেভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে, সেটা বেআইনি। তিনি বলেন,”তুমি যখন কারও বাড়িতে যাচ্ছ, না জানিয়ে, তাঁর তো নিরাপত্তার কারণও আছে। তুমি যে লুকিয়ে বিস্ফোরক বা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না, কে গ্যারান্টি নেবে। তুমি যদি কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছ না। জানাবার কোনও জায়গা নেই। এটা আইনি নয়, বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাংলায় চলছে।” সেই আশঙ্কায় যেন সত্যি হচ্ছে।