নন্দিতা রায়: দেশের ৭০ লক্ষ চিকিৎসকই প্রথম করোনার (Coronavirus) প্রতিষেধক পাবেন। একই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম সারিতে থাকা দু’ কোটি করোনাযোদ্ধাকেও (Corona warriors) করোনার প্রতিষেধক (Corona vaccine) দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাফাইকর্মীরা এই করোনাযোদ্ধার তালিকায় রয়েছেন। চিকিৎসক ও করোনাযোদ্ধা মিলিয়ে প্রায় তিন কোটি মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা একটা প্রাথমিক হিসাব করেছি, তাতে দেশে ৭০ লক্ষ চিকিৎসক রয়েছেন। এটা এক কোটি ধরে নিতে পারেন। সঙ্গে আরও দু’ কোটি স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী। ভ্যাকসিন এসে গেলে আমরা যেন এঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গে তা দিতে পারি। কোল্ড স্টোরেজ চেইন থেকে শুরু করে সিরিঞ্জ, অর্থাৎ এদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সব তৈরি রয়েছে।”
দেশে নতুন করোনা সংক্রমণ দীর্ঘ ৮৪ দিন পরে ৫০ হাজারের নিচে নেমে ৪৬,৭৯১ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে সেই তথ্য দেওয়া হয়। বিকেলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সেকথা উল্লেখ করে বলেন, “শেষবার ২৯ জুলাই সংক্রমণ ৫০ হাজারের নিচে ছিল (৪৮,৫১৩)। এদিন অবশ্য সংখ্যাটা তার থেকেও কম। দেশের ছয় রাজ্যেই প্রায় ৬৪ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও কেরল, এই তিন রাজ্যেই প্রায় ৫০ শতাংশ এবং বাকি তিন রাজ্য তামিলনাডু, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বাকি ১৪ শতাংশ।”
[আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এড়িয়ে গেলেন মোদি, তোপ কংগ্রেস নেতার]
সংক্রমণের নিরিখে বর্তমানে বাংলার পাঁচ জেলা কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি এগিয়ে রয়েছে। বাংলার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধির কারণেই কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে, সেকথা আগেই জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল আজ থেকেই বাংলায় নিজেদের কাজ শুরু করে দেবে। প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্য আগেই বাংলায় পৌঁছে গিয়েছেন। মঙ্গলবারই কয়েকজন কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন। আজ তাঁরা একত্রিত হবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আরেক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন।