সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রে অনন্য নজির গড়েছিল তাঁর অস্ত্রোপচার। মানবদেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল শূকরের হৃদপিণ্ড। কিন্তু স্থায়ী হল না সেই নজিরবিহীন সাফল্য। অস্ত্রোপচারের ২ মাস পর মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউনভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। ক্রমশ এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে তিনি আরও সুস্থ হবেন না। তাঁকে হাসপাতালের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। দেখভাল করেছিল হাসপাতালষ। অন্তিম মুহূর্তে তাঁর পাশে ছিল পরিবার।” এবার অস্ত্রোপচার সফল না হলেও ভবিষ্যতে সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী চিকিৎসকেরা।
[আরও পড়ুন: ‘শ্রাবন্তী চালাক, যা দেওয়ার দিয়েছে, যা পাওয়ার পেয়েছে’, কেন এমন খোঁচা তথাগতর?]
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি ডেভিড বেনেট নামে ৫৭ বছরের এক মার্কিনির শরীরে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপিত হয়। একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন ডেভিড। ডু-অর-ডাই সিচুয়েশন থেকেই ঝুঁকি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ। উনি ডেভিডের শরীরে শূকরের হার্ট বসিয়েছেন। জানা গিয়েছে, যে শূকরের হার্টটি অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছে সেটির ১০ টি জিন ‘এডিট’ করা হয়েছিল। প্রত্যাখ্যানের জন্য দায়ী তিনটে জিনকে প্রথম বাদ দেওয়া হয়। তারপর সেই জিনটিকে বাদ দেওয়া হয় যেটি শূকরের হার্টের মাত্রাতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী। এরপর ছ’টা মানুষের জিন প্রবেশ করানো হয় সেই শূকরের ডিএনএতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১০ টি জিনের অদলবদল হয়। তবু শেষরক্ষা হল না।
অত্যন্ত জটিল কাজটি করেছে ‘রিভিভিকোর’ বলে ভার্জিনিয়ার একটি সংস্থা। গত অক্টোবরে এরাই প্রথম শূকরের দেহে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করেছিল। ব্রেন ডেথ হওয়া এক মানব দেহে শূকরের সেই কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপিতও হয়েছিল। এবার আরও বড় পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে বেবুনের হার্ট একটি সদ্যোজাত শিশুর শরীরে বসানো হয়েছিল। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু শিশুটি ২০ দিনের বেশি বাঁচেনি। এবার শূকরের হৃদপিণ্ড নিয়ে ২ মাস জীবনযুদ্ধে লড়াই করলেন ওই মার্কিনি।