সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনি ইলিশ শিকারে বাধা দেওয়ায় মৎস্যজীবীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। বাংলাদেশে ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই প্রশাসন ও মৎসজীবীদের মধ্যে সংঘাত বাড়ছে। জীবিকার টানে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে প্রায়শই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন অনেকেই।
ইলিশ নিয়ে সংঘাতের এক ঘটনায় বাংলাদেশের রাজবাড়ি জেলায় মৎস্যজীবীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের ১২ জন আধিকারিকরা। জখম আধিকারিকদের মধ্যে তিনজনকে অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে পদ্মা নদীতে বেআইনি ইলিশ ধরা রুখতে অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম রুমানা আফরোজ-সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা উপস্থিত ছিলেন। কালুখালি উপজেলার মহেন্দপুর ঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানকারীরা একটি মাছ ধরার নৌকা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করতেই বিপত্তি বাধে। গতমপুর চর এলাকায় নৌকা থেকে অভিযানকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশ অধিকারিকরা শূন্যে গুলি চালালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রধানত আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন পর্যন্ত সময়ে মা ইলিশ ডিম পাড়ে। গত কয়েক বছর এই মরশুমে মাছ ধরায় বিধিনিষেধের ফলে বাংলাদেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে বলে প্রশাসের দাবি। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ফলে এখন দেশের শতাধিক উপজেলার নদীতে তা পাওয়া যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে খবর, জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন মৎস্যজীবী ইলিশ শিকার করেন৷ এসব জেলেরা ২২ দিন যাতে নদীতে মাছ শিকার না করা হয়, সে জন্য ইতিমধ্যে মাইকিং ও তাঁদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে সচেতন করা হয়েছে৷ মৎস্য আড়ত এলাকায় জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর, ফেরত পাঠানো হল অবৈধভাবে আসা ৪ বাংলাদেশি নাবালককে]
The post ইলিশ শিকার রুখতে অভিযান, মৎস্যজীবীদের হামলায় হাসপাতালে ১২ আধিকারিক appeared first on Sangbad Pratidin.