সোম রায়, ভুবনেশ্বর: একদিকে যখন একরাশ হতাশা নিয়ে শহরে ফিরেছে মোহনবাগান, অন্যদিকে তখন ভুবনেশ্বরে ফাইনালের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে ইস্টবেঙ্গলের. তবে বুধবার প্র্যাকটিসেই এলেন না দলের একমাত্র স্ট্রাইকার ডুডু। না, কোনও অশান্তির জন্য নয়। স্রেফ চোটের জন্য। সকালেই এমআরআই করতে ক্লিনিকে নিয়ে যেওয়া হয় তাঁকে। তাই প্র্যাকটিসে অনুপস্থিত। এখনও বলা সম্ভব নয়, ফাইনালে আদৌ খেলতে পারবেন কি না।
দল ফাইনালে উঠে গেলেও নানাবিধ অশান্তিতে এখনও ভরপুর ইস্টবেঙ্গল। এদিন মাঠের অনেক দূরে ছায়ায় বসে প্র্যাকটিস দেখলেন টিডি সুভাষ ভৌমিক। আর ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে প্র্যাকটিস করালেন খালিদ জামিল। একটা সময় মনে হচ্ছিল, পুরো দলটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন সুভাষ ভৌমিক। কিন্তু সুপার কাপে এসে দেখা গেল, ফুটবলারদের উপর নিয়ন্ত্রণ সুভাষের নয়, খালিদের। তাই ম্যাচ চলাকালীন সুভাষ যদি ফুটবলার পরিবর্তন করে দেন, অথবা অন্য কোনও সিদ্ধান্ত কোচের সঙ্গে কথা না বলে নেন, তাহলেই বিদ্রোহ করছেন খালিদ। এমনকী খালিদের পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররাও। আর এতেই বোঝা যাচ্ছে ফুটবলাররা এখনও পাশে রয়েছেন তাঁদের কোচের।
[সেলিব্রিটি তকমা সরিয়ে ‘গাল্লি ক্রিকেট’ মাস্টার ব্লাস্টারের, ভাইরাল ভিডিও]
যখন মনে হচ্ছিল, সব কিছুই বোধ হয় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই কেন ফের দলের মধ্যে এই অশান্তি? আসলে এফসি গোয়াকে হারিয়ে দল সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার পর সুভাষ ভৌমিক সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেন, আই লিগে এই দলটার একদম বাজে পারফরম্যান্স ছিল। সুপার কাপে তিনি এসেই দলটাকে ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সুভাষের এই বক্তব্য শুনেই খেপে গিয়েছেন ফুটবলাররা। তাহলে কি ফুটবলারদের কোনও অবদান নেই? সুপার কাপে শুধু সুভাষ ভৌমিকের জন্যই দল ফাইনালে উঠেছে? এমনকী এই দলটা আই লিগে বাজে খেলেছে বলায় ফুটবলারদের মতো কোচ খালিদকেও অপমান করা হয়েছে বলে মনে করছেন কাটসুমি-আমনারা। আর সমস্যার শুরু এখান থেকেই। তবে তারজন্য ফুটবলাররা যে সুপার কাপ ফাইনালের আগে ভেঙে পড়েছেন এরকম নয়। আই লিগ না পাওয়ায় ফুটবলাররা যখন সুপার কাপের কাছাকাছি চলে এসেছে, তখন আর হাতছাড়া করতে চাইছেন না। সবাই মিলে চাইছেন একসঙ্গে লড়াই করে সুপার কাপ ঘরে আনতে।
তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খবর, ডুডুর চোট। কেন না, সমস্যা যাই হোক, এই দলে গোল করার লোক একমাত্র ডুডু। আর তিনিই চোটের জন্য ফাইনালের দু’দিন আগে প্র্যাকটিস করতে পারলেন না। এই বিষয়টাই পুরো টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবিয়ে তুলেছে। যদিও এখনও এমআরআই রিপোর্ট হাতে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ডুডু বলছেন, তিনি ফাইনাল খেলার জন্য মরিয়া। এতদূর যখন আসা গিয়েছে, আরেকটু পরিশ্রম করলে চলে আসবে সুপার কাপ।
[বেঙ্গালুরুর পেশাদারিত্বের কাছেই হার, সুপার কাপ থেকে বিদায় মোহনবাগানের]
The post ফাইনালের আগে ফের দূরত্ব খালিদ-সুভাষের, প্র্যাকটিসে এলেন না ডুডু appeared first on Sangbad Pratidin.