সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই বিতর্কিত কেরল (Kerala) পুলিশ আইনের সংশোধনী অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ। নতুন অর্ডিন্যান্সের ফলে আরও কঠোর হল এই আইন। এর ফলে কেরলে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) আপত্তিজনক পোস্ট করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই আইনের বলে বাকস্বাধীনতা এমনকী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপন্ন হবে।
যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। তাঁর কথায়, ‘‘কেরল পুলিশ আইনের এই নতুন সংশোধনী কোনওভাবেই বাকস্বাধীনতা কিংবা পক্ষাপাতিত্বহীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না।’’ মহিলা এবং শিশুদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা সাইবার অপরাধ রুখতেই এই সংশোধন বলে দাবি করেছে কেরল সরকার।
[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থা অতি সংকটজনক, করোনাজয়ী হয়েও ভেন্টিলেশনে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ]
সংশোধিত আইনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যে কোনও ব্যক্তি যে কারও বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারবেন। তাছাড়াও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করতে পারবে। ফলে নিঃসন্দেহে এই আইনের বলে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ল। এবার থেকে কেরলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক পোস্ট করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল কিংবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা দু’টোই হতে পারে।
বিরোধীরা এই নয়া সংশোধনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, এই আইন পুলিশকে অহেতুক সীমাহীন ক্ষমতা প্রদান করবে এবং এর অপব্যবহারের সম্ভাবনাও রয়েছে। এর ফলে এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপন্ন হবে। রাজ্য সরকার এই আইনকে কাজে লাগিয়ে সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করতে পারে। কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইট করে জানিয়েছেন নয়া সংশোধনী তাঁকে ‘স্তম্ভিত’ করে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছটপুজোর অনুষ্ঠানে বিপত্তি, মঞ্চে সংবর্ধনা নিতে গিয়ে পড়েই গেলেন বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণ]
যদিও কেরল সরকারের বক্তব্য, আপাতত যে আইন রয়েছে, তা সাইবার অপরাধ রুখতে যথেষ্ট নয়। তাছাড়া আরও জানানো হয়েছে, গত মে মাসেই কেরলের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্দে পদক্ষেপ করার জন্য।