রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো লিংকে ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে সুন্দরীদের ছবি। টাকাপয়সার ঠিকঠাক রফা হলেই মিলবে সঙ্গিনী। চাইলে শুধু এক রাত নয়। পুরো ট্যুরেই আপনাকে সঙ্গ দিতে পারেন ওই সুন্দরী। দিঘা, মন্দারমণিতে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্রের কারবার। বড়দিনের আগে একটি হোটেল থেকে দুই মালিক-সহ তেইশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে মন্দারমণির বেশ কয়েকটি হোটেলে মধুচক্রের রমরমা আসর বসে। সামান্য একটি ফোন করে দেহ ব্যবসায়ী পাণ্ডাদের সঙ্গে বহু পর্যটকের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। তারাই হোয়াটসঅ্যাপে সুন্দরী মহিলাদের ছবি পাঠায়। টাকাপয়সার রফা হয়। এর পর ওই হোটেলে চলে আসেন মহিলা। কমিশন পায় হোটেল কর্তৃপক্ষও। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর এবং বর্ধমানের বাসিন্দা বলেই দাবি পুলিশের।
[আরও পড়ুন: যৌনতার পরেও পিতৃত্ব অস্বীকার! সদ্যোজাতকে ‘বাবুর বাড়ি’র সামনে রেখে গেলেন পরিচারিকা]
তদন্তে নেমে পুলিশ সমীর প্রধান এবং সোমনাথ প্রধান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই হোটেল মালিক। বাকিরা হল মির্জা সাত্তার বেগ, কার্তিক জানা, শুভঙ্কর গিরি, শুভময় পণ্ডা, তারক মাঝি। মির্জা সাত্তার বেগ সুবেড়িয়ার বাসিন্দা। জুনপুটের বাসিন্দা কার্তিক। কাঁথির মহিষাগোটের বাসিন্দা শুভঙ্কর এবং শুভময় মহিষামুণ্ডার বাসিন্দা। তারক মাঝি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে থাকে। তাদের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।