গোবিন্দ রায়: প্রদীপের তলায় অন্ধকার! খাস কলকাতায় ঝা চকচকে বিউটি পার্লার আর স্পায়ের আড়ালে বসত মধুচক্র। রমরমিয়ে চলত দেহব্যবসা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মধুচক্রের মূল পাণ্ডা।
হেয়ার স্ট্রিট থানা চত্বরে অভিজাত এলাকায় বিউটি পার্লার খুলেছিলেন এক মহিলা। সঙ্গী ছিল এক ব্যক্তিও। রঙচঙে পোস্টারে পার্লার সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার পাশাপাশি স্পা, মাসাজেরও বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকত। দিন-রাত দামী দামী গাড়ি ভিড় জমত পার্লারের বাইরে। কিন্তু এই পার্লারের আড়ালেই যে রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ মেলেনি প্রথমদিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই পার্লারের শাখা খুলেছিল ওই দুজন।
[আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৭২৩, সামান্য বাড়ল মৃত্যু]
কিন্তু কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। পার্লারের আড়ালে মধুচক্রের কথা পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের কানে। তক্কে তক্কে ছিল তারা। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে হেয়ারস্ট্রিট থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। হাতেনাতে ফাঁস হয়ে গেল পর্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, পার্লারের মালিক বাণী পাত্র, সুরেন্দ্র গোপাল-সহ মহম্মদ আরিফ নামে এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছিল এক কাস্টমারও।
বুধবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃত কাস্টমার জামিন পেয়ে গিয়েছে। বাকিদের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিউটি পার্লার ও স্পা-র নাম করে মধুচক্রের আসর বসার অভিযোগ আসছিল। তার ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃতরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি চু কিতকিতের দল’, তীব্র ভর্ৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
তবে এই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে পুলিশি অভিযানেশহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেহব্যববসা চক্র চালানোর অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে অনেকে। এমনকী, যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে রুপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকাদেরও। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে স্পা’র আড়ালে চলা মধুচক্রের আসরে হানা দিয়ে বাংলা সিরিয়ালের এক অভিনেতা-সহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড়ের ওই স্পা দুটিতে মধুচক্র চালানো হচ্ছে, কিছুদিন আগে এমন খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। সেই থেকে নজরে ছিল স্পা দুটি।