সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিম্নচাপ কমেছে। তবে জল ছাড়া বন্ধ করেনি ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পরিমাণ কমলেও রাজ্যকে না জানিয়েই নিয়মিত জল ছাড়ছে তারা। আর সেই জলে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গ। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদী। বুধবার রাতেও নতুন করে জল ঢুকেছে বহু এলাকায়। এর মধ্যে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে।
অতিবৃষ্টি ও কংসাবতী ব্যারেজ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ায় একেবারেই প্রায় কানায় কানায় ভরে উঠেছিল পাঁশকুড়ার নিউ কাঁসাই। আতঙ্কের মধ্যে এমনিতেই রাত জাগছিলেন নদী উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রবল জলের চাপ সহ্য করতে না পেরে একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছিল ছোট বড় গর্ত। আর তা থেকেই একটু একটু করে জল ঢুকতে শুরু করেছিল লোকালয়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে কাজে হাত মেলায় স্থানীয় জনসাধারণও। বুধবার ভোর প্রায় ৪ টা নাগাদ পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের গড় পুরুষোত্তমপুর এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন জন্দড়ায় নদীবাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। মুহূর্তেই প্লাবিত হয় পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার ১৮, ১৫, ১৭, ৬, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত হয় ১১, ১২, ১৬ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। জন্দড়ায় প্রায় ৩০০ ফুট নদী বাঁধ ভেঙে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা গণেশচন্দ্র ভূঁইয়ার একটি দোতলা বাড়ি রীতিমতো হেলে পড়ে। মুহূর্তেই জলের তলায় তলিয়ে যায়, ধান সবজি ফুলের বাড়ি সহ পুকুর ঘাট। পাঁশকুড়া ঘাটাল রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে কাসাইয়ের জলস্রোত। নামানো হয় এনডিআরএফ এর দুটি টিম। এদিকে বেসামাল এই পরিস্থিতির মাঝেই কাঁসাই এর এই দুর্বল নদী বাঁধ প্রবল জলের চাপ সহ্য করতে না পারে গড় পুরুষোত্তমপুরের ঠিক উল্টোদিকে উদয়পুর এবং মানুর এলাকায় পর পর দুটি জায়গায় ভেঙে যায়। আর তাতেই নতুন করে প্লাবিত হয় পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত চৈতন্যপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়পুর, জগদীশপুর, বিজয়রামচক, হরিনারায়ণচক, গোবিন্দনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।