সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে ততক্ষণে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছে৷ সবার একই অভিযোগ, ‘মহিলা খেলোয়াড়দের যৌনাঙ্গে ক্রমাগত ফোকাসের কি খুব দরকার আছে?’
উইম্বলডনের সম্প্রচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্লো-মোশনে অ্যাকশন দেখানোর সময় তারা খুব বেশি সময় ধরে ফোকাস করছে মহিলা টেনিস খেলোয়াড়দের যৌনাঙ্গের দিকে৷ খেলার থেকেও বেশি ফোকাস পাচ্ছে মহিলা খেলোয়াড়রা কী অন্তর্বাস পরেছেন তার উপর৷ প্রথমদিন থেকেই ব্রডকাস্টারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে ধারাভাষ্যকার আন্দ্রে ক্যাসেলের কাছে৷ তাতে সম্প্রচারকারী সংস্থাটির সাফাই, এমনটা প্রথম নয়৷ মহিলাদের টেনিস বরাবর যে কোনও গ্র্যান্ডস্ল্যামের বড় আকর্ষণ৷ সেক্ষেত্রে তাঁদের লম্ফঝম্ফ, শট খেলা, দৌড়ের সময় ফোকাস অন্তর্বাসের দিকে পড়তেই পারে৷ প্রসঙ্গত, উইম্বলডনের সম্প্রচারকারী সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে একটি বড় নাম৷ ফলে এই ধরনের অভিযোগে তাদের সুনামের উপর প্রভাব পড়তে পারে, এমনও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ৷
অভিযোগ উঠেছে, কানাডার তারকা ইউজেনি বুচার্ডের অন্তর্বাসের দিকে সব থেকে বেশি তাক করছেন সম্প্রচারকারী ক্যামেরাম্যানরা৷ বছর দুয়েক আগে সব থেকে ছোট পোশাকে কোর্টে নেমে এমনিতেই হইচই ফেলেছিলেন বুচার্ড৷ তারপর থেকে পোশাক-বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি৷ উইম্বলডনের এক দর্শক অনলাইনে অভিযোগ করেছেন, “বুচার্ডের শট ও মিস দেখার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা৷ ক্যামেরা যেন ওর অন্তর্বাস ছাড়া কিছু দেখাবে না বলে ঠিক করে রেখেছে৷”
বছর দশেক আগে মহিলাদের টেনিস বেশ উপভোগ্য ছিল৷ এখন সেভাবে মহিলাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার সুযোগ মেলে না৷ এমনও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের দাবি, সেরেনা উইলিয়ামস আসার পর থেকে একপেশে লড়াই হচ্ছে৷ যে কোনও গ্র্যান্ডস্লামে তিনি ফেভারিট হয়ে নামছেন৷ তাঁকে টক্কর দেওয়ার মতো কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী তেমনভাবে পাওয়া যাচ্ছে না৷ তার উপর শারাপোভার মতো তারকা নির্বাসনে৷ ফলে মহিলাদের টেনিসেও গ্ল্যামারের অভাব বোধ করছেন অনেকে৷