সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ধাক্কা খেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। তার আমলে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার লালুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও ওই কেলেঙ্কারী সংক্রান্ত প্রত্যেকটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা চালানোর আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
[সেনার জন্য জীবনের পুরো সঞ্চয়টাই দান করলেন ৮৪ বছরের এই বৃ্দ্ধ]
এদিন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সব মিলিয়ে একটি মামলা চালানোর হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ওই কেলেঙ্কারিতে জাল নথি দেখিয়ে বেশ কয়েকবার কোষাগার থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে লালু-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এই মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব ছাড়াও মামলা চলবে জগন্নাথ মিশ্র, প্রাক্তম আমলা সজল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে পশুখাদ্য কেনার নাম করে জাল নথির মাধ্যমে কয়েকবারে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা কোষাগার থেকে তোলা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ওই কেলেঙ্কারী সংক্রান্ত একটি মামলায় রাঁচির একটি আদালত লালুপ্রসাদ যাদবকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। লালুর বিরুদ্ধে দেওঘর কোষাগার মামলায় ষড়যন্ত্রের আরোপ নাকচ করায় এদিন ঝারখন্ড হাই কোর্টের সমালোচনা জোরে সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় স্লথ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে সিবিআই।
[সেনার জন্য জীবনের পুরো সঞ্চয়টাই দান করলেন ৮৪ বছরের এই বৃ্দ্ধ]
সবমিলিয়ে লালু প্রসাদ যাদবের সামনে এখন অভিযোগের ‘ত্রিশূল’। একদিকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি, অন্যদিকে তাঁর পুত্রকে বেআইনিভাবে পেট্রল পাম্প পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো রয়েছেই, পাশাপাশি যুক্তি হয়েছে কুখ্যাত মাফিয়া ও রাজনীতিবিদ মহম্মদ শাহাবউদ্দিনের কথামতো চলার অভিযোগ। সম্প্রতি একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে এনে এমনটাই দাবি করে অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক চ্যানেল। শাহাবউদ্দিন এখন দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। তার সঙ্গে লালু যাদবের টেলিফোনে কথোপকথন প্রকাশ্যে এনেছে ‘রিপাবলিক’ চ্যানেল।
অডিও টেপটির সত্যতা অবশ্য খতিয়ে দেখেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। চ্যানেলটির দাবি, জেলে বসেই সমান্তরাল প্রশাসন চালাত শাহাবউদ্দিন। ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও আরজেডি-সহ ছ’টি দলের মহাজোট নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করে ভোটে লড়ে। সেই ঐতিহাসিক নির্বাচনে রেকর্ড ভোট পড়ে। প্রায় ৫৬.৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। মহাজোট পায় ১৭৮টি আসন। বিজেপির নেতৃত্বে লোক জনশক্তি পার্টি-সহ জোট পায় ৫৮টি আসন। ওই নির্বাচনে বিহারের রাজনীতিতে কামব্যাক করেন লালু। আরজেডি ৮০টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বিবেচিত হয়। নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও বিহারের রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন লালু।
The post ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বেকায়দায় লালু appeared first on Sangbad Pratidin.