সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনলকের (Unlock) বেশ কয়েকটা পর্যায় কেটে গেলেও পিছু ছাড়েনি করোনাতঙ্ক। এখনও পান থেকে চুন খসলেই সংক্রমণের ভয়। আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন কাজ নিঃসন্দেহে হাসপাতালে যাওয়া। আপনার আশপাশে কে করোনা আক্রান্ত বোঝার উপায় নেই। অথচ ডায়ালিসিস হোক কিংবা সন্তান প্রসব অথবা চোট-আঘাতের চিকিৎসা-সহ নানা কারণেই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। এমন অবস্থায় কী করবেন? অতিমারীতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, নার্সিংহোমে গেলে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নেওয়া যাক।
Advertisement
- হাসপাতাল-সহ যে কোনও জনবহুল এলাকায় গেলে প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি, তা হল সোশ্যাল ডিসটেন্সিং।
- আগেভাগেই ডাক্তারের থেকে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট করে রাখলে ভাল। তাহলে সময় বুঝে পৌঁছতে পারবেন। বেশিক্ষণ অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। হঠাৎ যাওয়ার দরকার হলেও লাইনে না দাঁড়ানোই ভাল। মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার অবশ্যই রাখুন। সেই সঙ্গে গ্লাভস ও ওয়েট ওয়াইপার রাখতে পারলে ভাল। বাইরে থেকে বোতলের জল না কিনে বাড়ি থেকেই নিয়ে যান।
- হাসপাতালে পরিবারের অনেককে নিয়ে যাবেন না। যাঁর শরীর একেবারে সুস্থ এবং বয়স ৬০-এর কম, এমন ব্যক্তি বা মহিলাই যেন সঙ্গী হন। অন্তঃসত্ত্বা ও বাচ্চাদের অকারণে হাসপাতালে না যাওয়ারই ভাল।
- নিজেদের বাইক অথবা চারচাকা গাড়ি থাকলে তাতেই হাসপাতাল যান। একান্তই না থাকলে রিক্সা অথবা আগে থেকে ক্যাব বুক করে তাতে যান। গাড়ি থেকে নেমে হাত অবশ্যই স্যানিটাইজ করবেন। তার আগে ভুল করেও চোখে, মুখে হাত দেবেন না।
[আরও পড়ুন: জিরো সাইজের আশায় কিটো ডায়েট! জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন না তো?]
- ক্যাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছলে চেষ্টা করুন ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে। নগদ লেনদেন না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হাসপাতালের পেমেন্টের ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে পারেন।
- চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ও পড়ে সম্ভব হলে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধোবেন।
- হাসপাতাল কর্মীরা কোভিডবিধি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দিলে তা অবশ্যই পালন করবেন।
- চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত দরকারি কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যাবেন। দু-একটা অতিরিক্ত কাগজ নিলেও ক্ষতি নেই। যাতে কাগজ আনতে ভুল করায় দ্বিতীয়বার আসতে না হয়।
- করোনার (Coronavirus) উপসর্গ থাকলে হাসপাতালে না গিয়ে ক্লিনিক বা চেম্বারে গিয়ে ডাক্তার দেখান।
- হাসপাতাল ছাড়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন, আবার আসার প্রয়োজন আছে কি না। কখন এলে কোনও চিকিৎসকে পাওয়া যাবে ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।