সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবীপক্ষের আগমনী সুরে মাতোয়ারা বাংলা। থিম আছে থিমের মতো, সাবেকিয়ানার আলাদা ঐতিহ্য। এবার কয়েকটা দিন সব ভুলে যাওয়ার পালা। দেবীদর্শন, আড্ডার পাশাপাশি চুটিয়ে পেটপুজো করার সময়। পাতে বাঙালির ঐতিহ্য যাঁরা চান, তাঁদের জন্যই এবারের দুর্গাপুজোয়(Durga Puja 2024) পিয়ারলেসের 'আহেলী' নিয়ে এসেছে 'স্বাদরূপেণ'।
বাঙালির পাতে বাংলার খাবার পরিবেশন করেই থাকে 'আহেলী'। থালি সার্ভিসের পাশাপাশি থাকে আলাকাটে মেনু। পুজোর দিন গুলোতে এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে প্রায় ১৫টি নতুন পদ। এই তালিকায় যেমন রয়েছে ছানা-কড়াশুঁটির কাটলেট, মুর্শিদাবাদি চিকেন কাটলেট, তেমনই রয়েছে বরিশালের ডাব ইলিশ, মেদিনীপুরের পাবদার টক-ঝাল পান্না, ঢাকাই পোড়া মাংস, কুমোরপাড়ার মাংসের পোলাও। যার আনুষ্ঠানিক লঞ্চে হাজির ছিলেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, পায়েল দত্ত, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা।
ধর্মতলা, শরৎ বোস রোড আর অ্যাক্সিস মলের আহেলী। যেখানে যাবেন, হাঁক দিলেই পেয়ে যাবেন ভূরিভোজ থালি, রাজভোজ থালি, মহোৎসব থালি। ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ি, মাটন, চিকেন যা খুশি তাই খান। চাইলে পাবেন রাজবাড়ির তোপসে ভাজা, চিংড়ি পোস্ত বড়া, আম কাসুন্দি পমফ্রেটের মতো পদও পেয়ে যাবেন নিজের পাতে।
ভূরিভোজ থালির জন্য দিতে হবে ২৭৯৫ টাকা। রাজভোজ থালির দাম ২১৯৫ টাকা। আর মহোৎসব থালির জন্য খরচ করতে হবে ১৬৯৫ টাকা। এছাড়াও বাঙালি বুফে মেনু পেয়ে যাবেন মাথাপিছু ১৪৯৯ টাকার বিনিময়ে। প্রত্যেকটি স্পেশাল মেনুর জন্য জিএসটি আলাদা।
কলকাতার পিয়ারলেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার মউ চৌধুরী জানান, সারাদেশের স্টার হোটেলগুলির মধ্যেই পিয়ারলেসের 'আহেলী'ই প্রথম বাঙালি ফাইন ডাইনিং রেস্তরাঁ। বাঙালি ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেকটি পদ বাছা হয়েছে। অভিজ্ঞ শেফরা ঠাকুরবাড়ি, জমিদার তথা রাজবাড়ির হারিয়ে যাওয়া রেসিপিগুলো মাথায় রেখেছেন। এবার তা বাঙালির পাতে সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে।