হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: একাধিক বিশ্বরেকর্ডের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে ২০২৫-এর মহাকুম্ভ। এবারের মহাকুম্ভে রেকর্ড পরিমাণ ভক্তসমাগম তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকুম্ভে বসতে চলেছে সর্ববৃহৎ চক্ষু চিকিৎসার ক্যাম্প। ইতিহাসে প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে ৫ লক্ষ মানুষের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি ৩ লক্ষ চশমা বিতরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই মহাযজ্ঞের নাম দেওয়া হয়েছে নেত্রকুম্ভ।
জানা গিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি এই নেত্রকুম্ভ বসতে চলেছে মহাকুম্ভের সেক্টর ৫-এর নাগকুম্ভ অঞ্চলে। প্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে চলবে এই ক্যাম্প। যেখানে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও চশমা বিতরণের পাশাপাশি প্রয়োজনে শল্যচিকিৎসাও চলবে নিকটবর্তী হাসপাতলে। নেত্রকুম্ভ কমিটির সদস্য ডাক্তার রঞ্জন বাজপেয়ী বলেন, এই নেত্রকুম্ভের উদ্বোধন করবেন জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর অবধেশানন্দ মহারাজ ও মহারাজ গৌরাঙ্গ প্রভুজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক্তার কৃষ্ণা গোপালজি, সংঘের সাহা সরকারইয়াভা। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার করে চক্ষু পরীক্ষার টার্গেট নেওয়া হয়েছে এই ক্যাম্পে। গতবার লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছিল মহাকুম্ভ। এবার তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা পেতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এই নেত্রকুম্ভের জন্য ২৪০টি বড় হাসপাতালকে এক ছাতার তলায় আনা হয়েছে। চিকিৎসকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্প চলাকালীন এখানেই থাকবেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর পর যারা চক্ষুদান করতে চান তারা এখানে চক্ষু দানও করতে পারবেন। গতবছর এই নেত্রকুম্ভে এসে ১১ হাজার মানুষ চক্ষুদান করেছিলেন। সেই সংখ্যাটা এবার আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি মহাকুম্ভের মহাযজ্ঞে এবার বিনোদনেরও খামতি নেই। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে এবার বিরাট ড্রোন শো-এর আয়োজন করা হচ্ছে। প্রায় ২০০০ ড্রোনের মাধ্যমে মহাকুম্ভের আকাশে দেখা যাবে আলোর রোশনাই। জানা গিয়েছে, এই ড্রোন শো-এর মাধ্যমে আকাশে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রয়াগরাজের মাহাত্ম্য। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মহাকুম্ভ। সেই উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশ ট্যুরিজম বিভাগের তরফে বেশকিছু বিনোদন মূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ভক্তদের জন্য। যেমন এখানে থাকছে যমুনা নদীর তীরে মিউজিকের মাধ্যমে লেজার শো, ভাসমান রেস্তোরাঁ, হট এয়ার বেলুন প্রভৃতি।