শিলাজিত সরকার: বছর দুয়েক আগের এই সন্তোষ ট্রফিতেই শেষ হয়ে যেতে বসেছিল তাঁর ফুটবল কেরিয়ার। দলের স্বার্থে চোট নিয়েই নেমে পড়েছিলেন ম্যাচে। আর সেই চোটের জন্য প্রায় একটা বছর মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে।
অবশেষে সেই সন্তোষ ট্রফির মঞ্চেই ফের যেন প্রতিষ্ঠা পেলেন তিনি। রবি হাঁসদা। বাংলাকে ৩৩তম বারের জন্য ভারতসেরা করার প্রধান কারিগর। তাঁর একমাত্র গোলেই তো কেরালাকে সন্তোষ ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে হারাল বাংলা। ১২ গোল করে যিনি সোনালি বুট জিতলেন এবারের প্রতিযোগিতায়। ট্রফি জয়ের পর হায়দরাবাদ থেকে ফোনে রবি বলছিলেন, “এই অনুভূতির কথা বলে বোঝাতে পারব না।”
বাংলার হয়ে সন্তোষের এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড এতদিন ছিল মহম্মদ হাবিবের। ‘বড়ে মিঞাঁ’র শহরেই তাঁর ১১ গোলের রেকর্ড ভাঙলেন রবি। যে রেকর্ড বঙ্গ ফরোয়ার্ড বলছিলেন, “এতগুলো গোল করব, সেটা আশা করিনি। শুনলাম আমি নাকি মহম্মদ হাবিবের মতো কিংবদন্তির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছি। তবে আমার লক্ষ্যই ছিল সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া। সেটা হতে পেরে ভালো লাগছে।”
দুর্গাপুরের মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা রবির এখন লক্ষ্য দু’টো। প্রথমত, একটা চাকরি। বলছিলেন, “একটা চাকরি পেলে খুশি হব। মুখ্যমন্ত্রী বা ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে বলব চাকরির কথা।” দ্বিতীয়ত, আরও সাফল্য পাওয়া। “লক্ষ্য আরও বড় জায়গায় যাওয়া। আইএসএলে খেলতে চাই। আশা করছি সুযোগ পাব,” বলছিলেন রবি।