এফসি গোয়া: ২ (বোরহা, সাদিকু)
বেঙ্গালুরু এফসি: ১ (সুনীল)
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ জয়ী বেঙ্গালুরু
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাইনালের টিকিট। সেটা পেতে দুই দলের মরিয়া লড়াই। ছিটকে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। সবশেষে সুনীল ছেত্রীর অনবদ্য গোলে ম্যাচের ভাগ্য় নির্ধারণ। রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনালের সমস্তরকম উপাদানই মজুত ছিল বেঙ্গালুরু এফসি বনাম এফসি গোয়া ম্যাচে। ৯৬ মিনিটের টানটান যুদ্ধ শেষে জয়ের হাসি বেঙ্গালুরুর মুখে।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোয়াকে ক্লিনশিটে হারিয়ে বেঙ্গালুরুর আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। ফিরতি লেগে গোয়ার ঘরের মাঠে খেলা হলেও হাসতে হাসতে ফাইনালে উঠবে সুনীল ছেত্রীর দল- এমনটাই ধরে নিয়েছিল ফুটবলমহল। কিন্তু ২-০ পিছিয়ে থাকলেও দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই করলেন আয়ুশ ছেত্রীরা। বল দখল থেকে গোলমুখী শট-সবকিছুতেই বেঙ্গালুরু এফসির চেয়ে শত যোজন এগিয়ে থাকল গোয়া। হারের মুখ থেকেও কীভাবে জেতার লড়াই চালিয়ে যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রইল গোয়া ব্রিগেড।
রবিবারের ম্যাচে ১ গোল খেয়ে গেলেও ফাইনালে চলে যেতে পারত বেঙ্গালুরু। হয়তো সেখান থেকেই খানিকটা ঢিলেমি ছিল রাহুল ভেকেদের খেলায়। প্রথমার্ধে একের পর এক গোলমুখী শট মারেন আয়ুশ-বোরহারা। বল দখলের লড়াইয়েও অনেকখানি এগিয়ে ছিল গোয়া। তবে প্রথমার্ধে গোল আসেনি। বিরতির পরে ম্যাচের বয়স যখন ৪৮ মিনিট, বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স চিরে গোল করলেন বোর্জা হেরেরা। ১-০ এগিয়ে গিয়ে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে গোয়ার আক্রমণ। একের পর এক শট বাঁচাতে হয় গুরপ্রীতকে।
ম্যাচ ৮৫ মিনিট গড়িয়ে গেলেও সমতা ফেরাতে পারেনি গোয়া। ঘরের মাঠে প্রিয় দলের হারের গন্ধ পেয়ে তখন গোয়া সমর্থকদের মুখভার। ঠিক সেই সময়ে এল আর্মান্দো সাদিকুর গোল, ৮৭ মিনিটে। কিন্তু কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। গোটা স্টেডিয়াম যখন ভাবছে, ম্যাচ এক্সট্রা টাইমে গড়াবে, তখনই জ্বলে উঠলেন তিনি-সুনীল ছেত্রী। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছোঁয়ালেন, বিদ্যুৎবেগে জালে জড়িয়ে গেল বল। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া গোলকিপারের আর কিছু করার ছিল না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল গোয়ার পক্ষে ২-১। কিন্তু প্রথম লেগে এগিয়ে থাকায় ফাইনালের টিকিট পেল বেঙ্গালুরু।