স্টাফ রিপোর্টার: স্বার্থের সংঘাতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) সহ-সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শ্রাচির কর্ণধার রাহুল টোডি। সঙ্গে শ্রাচি স্পোর্টসের চেয়ারপার্সন তমাল ঘোষালও।
একদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সহ-সভাপতি। আরেকদিকে মহামেডানে শ্রাচির বিনিয়োগের পর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বোর্ডের ডিরেক্টর। আইএসএলে দু'টো দলই খেলছে। ফলে অনেকদিন ধরেই ব্যাপারটা নিয়ে ভারতীয় ফুটবল মহলে একটা কানাঘুষো চলছিল, একজন ব্যক্তি আইএসএল খেলছে এরকম দুটো দলের শীর্ষ পদে কীভাবে থাকতে পারেন? কথাটা আইএফএ-তে বিনিয়োগের সময়েও উঠেছিল।
ইস্টবেঙ্গলের সহ-সভাপতি রাহুল খোদ আইএফএ-র বিনিয়োগকারী। পরে তিনিই আবার মহামেডানের ডিরেক্টর। সব মিলিয়ে মারাত্মক স্বার্থের সংঘাত। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান ম্যাচে ৯ জনের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মহামেডানের গোল করতে না পারার পর এই বিষয়ে আলোচনা প্রবল হয় ভারতীয় ফুটবল মহলে। এমনকী আলোচনা শুরু হয় এফএসডিএলে। বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তৈরি হওয়ায় হস্তক্ষেপ করেন তারাও। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তারা চিঠি পাঠান ইস্টবেঙ্গলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করলেন রাহুল এবং তমাল।
পদত্যাগ করার পর রাহুল বললেন, "মহামেডানের বিনিয়োগকারী তথা ডিরেক্টর হওয়ার পর থেকে ইস্টবেঙ্গলের সহসভাপতি হিসেবে সময় দিতে পারছিলাম না। মহামেডানে আরও বেশি করে সময় দিতে চাই।"