স্পেন: ১ (কালাফিওরি- আত্মঘাতী )
ইটালি: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ থেকে ২০২১। ইউরো কাপে স্পেন-ইটালি ম্যাচের দুটো ভিন্ন ছবি দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। প্রথমটার ফাইনালে জাভি-ইনিয়েস্তার দাপটে ধ্বংস হয়েছিল ইটালির বিখ্যাত কাতানেচিও ডিফেন্স। আর তার প্রায় ১০ বছর পরে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন জর্জিনহোরা। সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হার মানতে হয়েছিল স্পেনকে। আর ২০২৪? এবার গ্রুপ পর্বে দুদলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন পেদ্রিরা। সারা ম্যাচ দাপট রেখে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতল স্পেন (Spain Football Team)।
আসলে এক যুগের আগের টুর্নামেন্টের সঙ্গে এদিনের ম্যাচের কোনও তুলনা চলে না। তারকার রোশনাই ফিকে হয়েছে দুদলেই। চলতি ইউরোয় (Euro Cup 2024) স্পেন অনেকটাই সরে এসেছে চিরাচরিত তিকিতাকা থেকে। নিকো-ইয়ামালরা গতিতে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বিপক্ষের রক্ষণকে। পাসের ফুলঝুরির সঙ্গে চকিতে ডিফেন্স চেরা পাস বাড়াচ্ছেন রদ্রি, ফাবিয়ান রুইজরা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
ম্যাচের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল স্পেনের কাছে। নিকোর ভাসানো বল থেকে পেদ্রির হেড বাঁচিয়ে দেন ইটালির গোলরক্ষক ডনারুমা। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য লক্ষ্যে বল রাখতে ব্যর্থ হন নিকো। অধিনায়ক আলভারো মোরাতার কাছেও চলে এসেছিল গোলের সুযোগ। ফাবিয়ান রুইজের দূরপাল্লার শট শরীর ছুঁড়ে বাঁচান ডনারুমা। মাঝমাঠে জর্জিনহোদের টেক্কা দিয়ে গেলেন পেদ্রি। গোটা প্রথমার্ধে গোলমুখে একটিও শট নিতে পারেনি ইটালি (Italy Football Team)। আর সেখানে একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল লুইস দে লা ফুয়েন্তের ছেলেদের।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করল ভারত]
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। বক্সের মধ্যে ফের গোলের সুযোগ নষ্ট করেন পেদ্রি। কিন্তু এতো চাপের সামনে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করল ইটালির ডিফেন্স। নিকোর ক্রস ভালোভাবে ক্লিয়ার করতে পারেননি গোলকিপার। যা কালাফিওরির পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। তার পরও আক্রমণের ঝাঁজ কমেনি। গোললাইন থেকে বল বাঁচান ক্যাম্বিয়াসো। ইয়ামালের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বারে লেগে ফিরে আসে নিকোর শট। শেষের দিকে অবশ্য একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিল ইটালি। মুহুর্মুহু আক্রমণ চালাচ্ছিল স্পেনের বক্সে। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। ১-০ ব্যবধানেই জিতল স্পেন।
বরং ইটালির গোলপোস্টের তলায় ডনারুমা থাকায় ব্যবধান বাড়েনি। অন্তত পাঁচ গোলে জেতা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী গোলে জিতল স্পেন। চলতি ইউরোতে ১৮ ম্যাচে এই নিয়ে হয়ে গেল ৫টি সেমসাইড। কিন্তু স্কোরবোর্ড যে কথাই বলুক না কেন, ক্রমশ 'ভয়ংকর সুন্দর' হয়ে উঠছে স্পেন। জাভি-ইনিয়েস্তাদের সোনালী প্রজন্ম ফিরবে না। কিন্তু আগামী ভবিষ্যতে নিজেদের ইতিহাস নিজেরাই লিখতে পারেন পেদ্রিরা। সেই সম্ভাবনার ঝলক আরও একবার দেখল ইটালি। আরও একবার দেখল ইউরোপ। লা রোখাদের কিন্তু রোখা মুশকিল!
[আরও পড়ুন: পিছিয়েই চলেছে ভারত, র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ নেমে ১২৪ নম্বরে গুরপ্রীতরা]
অন্যদিকে গ্রুপ সি-র ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে থমকে গেল ইংল্যান্ডের জয়রথ। প্রথমেই ব্রিটিশদের এগিয়ে দিয়েছিল অধিনায়ক হ্যারি কেন। ১৮ মিনিটে কাইল ওয়াকারের বাড়ানো বল ধরে ঠান্ডা মাথায় জালে বল জড়িয়ে দেন ইংরেজ গোলমেশিন। কিন্তু ৩৪ মিনিটে দূরপাল্লার দর্শনীয় গোলে সমতা ফেরান ডেনমার্কের মার্টিন হুলমান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে বরং দাপট বজায় রেখেছিলেন ড্যানিশরাই। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কোনও দলই।