স্টাফ রিপোর্টার: আপাতত বিদেশি ফুটবলার পরিবর্তন করার কথা ভাবছে না ইস্টবেঙ্গল। ভাবলেই তো হল না। কাউকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিদেশি ফুটবলার আনতে গেলে দু’ক্ষেত্রেই টাকার প্রয়োজন। যাঁকে বাদ দেওয়া হবে, তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর যাঁকে নেওয়া হবে তাঁর সঙ্গেও বিশাল টাকা দিয়ে চুক্তি করতে হবে। যা খুব দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব নয়। এর উপর নতুন কোনও বিদেশি ফুটবলার এই মুহূর্তেই নিতে হবে এরকম ভাবে এখনও টিম ম্যানেজমেন্টকে জোর দেননি লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো। ফলে জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার আগে নতুন কোনও বিদেশি ফুটবলার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেবেন বলে মনে হয় না।
এর পিছনে আরও একটা কারণ হল, এই মুহূর্তে একমাত্র ফ্রি বিদেশি ফুটবলার ছাড়া কাউকে নেওয়া সম্ভব নয়। আর ভালো ফুটবলার কেউ ফ্রি থাকবেন না। সেই কারণেই জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো পর্যন্ত অপেক্ষা করা হতে পারে। এরকম আলোচনায় উঠেছিল, খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য হয়তো শেষ মুহূর্তে ক্লেটন সিলভাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু দলের অধিনায়ককে ছাড়ার এই মুহূর্তে কোনও সম্ভাবনা নেই।
ফলে যে দল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল শুরু করেছিল, সেই দল নিয়েই আপাতত আইএসএলের কথা ভাবতে হচ্ছে। কিন্তু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওটা সম্ভব হয়েছে বলেই যে, শনিবার আইএসএলে মহামেডান ম্যাচ খুব সহজ হবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য, এরকমটা নয়। কারণ এএফসি-তে ৬ জন বিদেশি নিয়ে খেলা গিয়েছে। সেখানে লিগে এসে ফের খেলতে হবে ৪ জন বিদেশি নিয়ে। তাই এএফসি-র সঙ্গে আইএসএলের পারফরম্যান্সকে কেউই মেলাতে রাজি নন। বরং ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট জোর দিচ্ছে ড্রেসিংরুমের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসার উপর। যেভাবে দলটা প্রতি ম্যাচই হারছিল, সেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিতে আসায় দলের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে, যা লিগের ম্যাচে কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর এক্ষেত্রে মহামেডান ম্যাচকেই পাখির চোখ হিসেবে দেখছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবারের ম্যাচের ফল দেখে বোঝা যাবে, দলটা আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারল কি না।
কুয়াদ্রাতের সময় দলের প্রধান সমস্যাই ছিল ফুটবলারদের ফিটনেস সমস্যা। অস্কার কোচ হয়ে এসে শুরুতেই বদলে দিয়েছেন কুয়াদ্রাতের সময়ের ফিজিকাল ট্রেনারকে। চেষ্টা করছেন তাড়াতাড়ি করে দলের ফিটনেস বাড়িয়ে তুলতে। যে কারণে মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে প্র্যাকটিসের সময় ফুটবলারদের বেশিটা সময় কাটালেন ফিজিকাল ট্রেনারের কাছেই।