ইস্টবেঙ্গল: ০
মুম্বই সিটি: ০

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ভালো খেলিয়াও জয় অধরা'। ইস্টবেঙ্গল বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচকে অনেকটা এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। ফুটবলে শেষ কথা বলে গোল। আর সেটার অভাবেই ভুগল ইস্টবেঙ্গল। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করল, প্রায় গোটা ম্যাচ জুড়ে রইল দাপটও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য ড্রয়ে। ফলে প্লে অফের লড়াইয়ে আরও চাপে লাল-হলুদ বাহিনী। ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় একধাপ উঠে এলেও লাভের লাভ কিছু হল না।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সম্ভবত মরশুমের সেরা প্রথমার্ধটা খেলল ইস্টবেঙ্গল। কে বলবে ৫-৬ জন ফুটবলার নেই। ভাঙাচোরা দল নিয়েই প্রথমার্ধে মুম্বইকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়াল অস্কারের দল। সবই করল, শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা বাদ দিয়ে। রাইট ব্যাকে খেললেন নন্দ কুমার। মাঝমাঠে মহেশ ও সৌভিক। আক্রমণে দিয়ামান্তোকোসের পাশে ডেভিড থাকলেও, তিনি অনেকটা নীচে নেমে আসছিলেন। মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করলেন মহেশরা। নিজেদের মধ্যে দ্রুত, ছোট পাস খেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টাও কার্যকরী হচ্ছিল। আবার মুম্বইয়ের পায়ে বল পড়লেই হাই প্রেসিং করছিলেন বিষ্ণুরা। ফলে বহুবার গোলের দরজা খুলতে পারত ইস্টবেঙ্গলের।
প্রথমার্ধে সেটা হল না মূলত ফাইনাল থার্ডে নিখুঁত ফুটবল ও ফিনিশিংয়ের অভাবে। মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে অনেকবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মহেশ। দুই প্রান্তে চেনা ছন্দে ছিলেন বিষ্ণু-সেলিস। ১৩ মিনিটে জোড়া সেভ করেন মুম্বইয়ের গোলকিপার লাচেনপা। তবে সেরা সুযোগটা এসেছিল প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে। ডান প্রান্ত দিয়ে মুম্বইয়ের ডিফেন্ডারদের মাটি ধরিয়ে ক্রস তুলেছিলেন বিষ্ণু। কিন্তু দিয়ামান্তোকোস ঠিক জায়গায় পৌঁছতেই পারলেন না।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা দাপট কমল ইস্টবেঙ্গলের। বরং বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি আক্রমণ তুলে এনেছিল ছাংতেরা। তবে প্রথমার্ধে চোটের জন্য মুম্বইয়ের প্রধান স্ট্রাইকার কারেলিস উঠে যাওয়ায় তাদের আক্রমণ একেবারেই জমাট বাঁধেনি। ইস্টবেঙ্গলের জন্য বিপদ বাঁধতে পারত ৭৩ মিনিটে। বক্সের ঠিক সামনে হাত দিয়ে বল আটকান নন্দ। একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলে পেনাল্টি পেতে পারত মুম্বই। অবশ্য ফ্রি কিক থেকে গোল হয়নি। ঠিক পরের মিনিটেই গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। দিয়ামান্তোকোসের হেড বারে লেগে ফেরে। আবার ৮০ মিনিটে লাল-হলুদকে বাঁচান গোলকিপার প্রভসুখন গিল। শেষের দিকে মুম্বই কিছুটা চাপ তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হল।