মহামেডান: ১ (কাসিমোভ)
কেরালা ব্লাস্টার্স: ২ (পেপরা, জিমেনেজ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারল না পুরনো রোগ। সেই এগিয়ে গিয়ে গোল হজম করে হারের ধারা অব্যাহত রাখল মহামেডান। মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন সময় কেটে গিয়েছে। আগের ভুলত্রুটি শুধরে সুযোগ ছিল জয়ে ফিরে আসার। ঘরের মাঠ কিশোর ভারতীতে কি পয়েন্ট তুলতে পারবে চেরনিশভের দল? নাকি ফের শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার প্রবণতায় পয়েন্ট নষ্ট করবে? আশঙ্কা সত্যি করে দ্বিতীয়টাই ঘটল আবার। এগিয়ে থেকেও জোড়া গোল হজম করে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হারল মহামেডান।
সাধারণত শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার পক্ষপাতি চেরনিশভ। এদিনও শুরু করতে চেয়েছিলেন সেভাবেই। কিন্তু কেরালার প্রীতম কোটালরা সেভাবে জায়গা ছাড়েননি ফ্রাঙ্কাদের। ব্রাজিলীয় এই স্ট্রাইকারের মধ্যে ছটফটানি থাকলেও গোলের দেখা পাননি। মহামেডান বক্সের আশেপাশে ঘুরলেও গোলের মুখ খুলতে সমস্যায় পড়ছিল। এর মধ্যে চাপ বাড়ে ডিফেন্ডার জোসেফ আদজেই চোট পেয়ে উঠে যাওয়ায়। সেই জায়গায় নামলেন নবাগত ওগিয়ের। যদিও তার খানিকক্ষণের মধ্যেই এগিয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। কেরালার গোলকিপার তাঁকে ফাউল করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। সেখান থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন কাসিমোভ।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল মহামেডান। যদিও কেরালার জিমেনেজের শট বারে লেগে ফিরে না এলেও বিপদ বাড়ত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। কিন্তু তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাঁর একটা পেনাল্টির আবেদন নাকচ করা হয়। অবশেষে ফল ভোগ করতে হল ৬৭ মিনিটে। খেলা যত গড়াতে লাগল, তত শ্লথ হয়ে গেল মহামেডান। আগের ম্যাচগুলোর মতো এবারও তার খেসারত দিতে হল। প্রথমে প্রায় ফাঁকা অবস্থায় গোল করে গেলেন কেরালার পেপরা। মহামেডান দ্বিতীয় গোল হজম করল ৭৫ মিনিটে। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা ক্রস যখন জিমেনেজ হেড করছেন, তখন তাঁকে কেউ মার্কই করল না। এর মধ্যে নোয়া সাদাউরা একাধিক গোল মিস না করলে লজ্জা আরও বাড়ত। ফলে সেই পুরনো রোগই তাড়া করল মহামেডানকে। এগিয়ে গিয়েও কেরালার কাছে ২-১ গোলে হারল চেরনিশভের ছেলেরা। লিগ টেবিলে রইল ১১তম স্থানে।