স্টাফ রিপোর্টার : শনিবার ডার্বির সন্ধ্যায় যুবভারতীয় দু’নম্বর ট্রেনিং গ্রাউন্ডের ঠিক সামনে ছোটোখাটো একটা ভিড় তৈরি হয়েছিল প্রীতম কোটালকে ঘিরে। দু’মরশুম আগেও দুই প্রধানের লড়াইয়ে অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তিনি। মোহনবাগানের হয়ে টানা জিতেছেন সাত-সাতটা ডার্বি। সেই প্রীতমই ডার্বি-পূর্ব যুবভারতীতে অনুশীলন করলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে। যাওয়ার সময় বলেও গেলেন, “ডার্বি নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আমি এখন কেরালার প্লেয়ার। কালকে আমাদের ম্যাচ, সেটা নিয়েই ভাবছি।”
রবিবার শহরের অন্য প্রান্তে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে আর এক প্রধান মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে প্রীতমের দল কেরালা। শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হেরেছে সাদা-কালো শিবির। এবার সবুজ-মেরুনের একদা ঘরের ছেলের বর্তমান দলের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। ম্যাচের আগে মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভও বলছিলেন, “এবার লিগে কেরালা সব ম্যাচেই গোল করেছে। ফলে ওদের আক্রমণের শক্তি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোল করার সুযোগ দিয়েছি। তবে অনুশীলনে সেই সব ভুল শুধরে নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেরালার বিরুদ্ধে আমাদের রক্ষণ ঠিক রাখতে হবে।” সেট-পিস কেরালার অন্যতম শক্তি। তাই এদিন যুবভারতীতে অনুশীলনের অনেকটা সময় কর্নার আর ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বল ঠেকানোর উপর জোর দিলেন চেরনিশভ।
৫ অক্টোবরের ডার্বির আগেই শহরে চলে এসেছিলেন মহামেডানের নতুন বিদেশি ফ্লোরেন্ত অগিয়ের। দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ফিট হয়ে উঠেছেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। তবে কেরালার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম দলে রাখছেন না চেরনিশভ। মোটামুটি মোহনবাগান ম্যাচের দলে দু’টো পরিবর্তন করেই দল সাজাবেন তিনি। চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া অমরজিৎ কিয়ামের পরিবর্তে মাঝমাঠে আঙ্গুসানা লুয়াং। আর রাইট উইংয়ে ফিরছেন বিকাশ সিং। গত মরশুমে কলকাতা লিগ ও আই লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে দুই উইঙ্গার বিকাশ ও লালরেমসাঙ্গার বড় ভূমিকা ছিল। এবার আইএসএলেও সেই জুটিকে শুরু থেকে ব্যবহারের ভাবনা আছে চেরনিশভের।