সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন ছয় আগে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে পরাস্ত হয়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এরপর ব্যাপক ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল এলএম১০-কে। শুনতে হয়েছিল 'মেসি শেষ', 'বুড়িয়ে গিয়েছেন' ইত্যাদি সব বাছা বাছা শব্দবন্ধ। কিন্তু 'ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট', তা আরও একবার প্রমাণ করলেন মেসি। সেই সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে গোলে ফিরলেন তিনি। ফেরালেন ১৮ বছর পর আগের 'আঙ্কারা মেসি'র স্মৃতিও।
৩৮ বছরেও তিনি জাদু দেখাতে পারেন। মেজর লিগ সকারে ফিরেই জোড়া গোল করেছেন মেসি। এর ফলে মন্ট্রিয়ল সিএফকে'র বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁদের। ৪-১ গোলে ম্যাচটি হেলায় জিতে নিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
ম্যাচের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি মেসির ক্লাবের। মেসির ভুলেই মাত্র দু'মিনিটেই গোল হজম করে মায়ামি। তখন কে জানত, ভুলের মাশুল জোড়া গোলের মাধ্যমে চুকিয়ে দেবেন এলএম১০। ম্যাচের বয়স তখন ৩৩ মিনিট। তাদেও আইয়েন্দেকে মাপা পাস বাড়ান মেসি। বল জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি তাদেও। মেসির জাদু দেখানো তখনও বাকি ছিল। ৪০ মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন মেসি। ৬০ মিনিটে সেগোভিয়ার দুর্দান্ত গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি।
৬২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একক দক্ষতায় বিপক্ষের একাধিক ফুটবলারকে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। মেসির এই গোলে অনেকেই স্মৃতিমেদুর হয়ে উঠবেন। ২০০৭ সালে গেটাফের বিরুদ্ধে অনেকটা এমনই গোল করেছিলেন লিও। ওই সময় ধারাভাষ্যকার সেই গোলকে বারবার 'আঙ্কারা মেসি' বলে সম্ভাষণ করেন। ইন্টার মায়ামির হয়ে গোল করে ১৮ বছর পর সেই স্মৃতিই যেন ফিরে এল। নেট নাগরিকরা একে বলতে শুরু করেছেন 'আঙ্কারা মেসি পার্ট ২'। এমন জাদু বারবার দেখার জন্যই তো ফুটবল দেখা।
