স্টাফ রিপোর্টার: রবিবার সামনে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। কিন্তু জোসে মোলিনার তার থেকেও বেশি চিন্তা কার্ড সমস্যার জন্য রক্ষণের দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার আলবার্তো রডরিগেজ ও শুভাশিস বসুর না থাকা। আক্রমণভাগে জেমি ম্যাকলারেন, গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাশাপাশি জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা যেমন পরিবর্ত হিসাবে সমানভাবে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন, রবিবার রক্ষণেও কি শুভাশিস, আলবার্তোদের পরিবর্তে ধারাবাহিকভাবে নির্ভরতা দিতে পারবেন দীপেন্দু বিশ্বাসরা?
যদিও শেষ দু’ম্যাচে প্রথম একাদশে নেমে কোচের আস্থা অর্জন করেছেন দীপেন্দু। রবিবার যদি তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেন মোলিনা, তাহলে তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নর্থইস্টের প্রতিআক্রমণ আটকানো। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ আক্রমণভাগের নেতৃত্বে যখন থাকেন আলাদিন আজারাইয়ের মত ফুটবলার। এই আইএসএলে যাঁর নামের পাশে ইতিমধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছে ১১টি গোল। শুভাশিসের পরিবর্তে আসতে পারেন আশিক কুরুনিয়ান।
এই দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার না থাকলে কি সমস্যায় পড়তে হবে মোহনবাগানকে? এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন কোচ মোলিনা। বলছেন, “আলবার্তো, শুভাশিস ভালো ফুটবলার নিশ্চয়ই। কিন্তু আমার কাছে প্রত্যেক ফুটবলারই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য ফুটবলাররাও তৈরি আছে দলকে জেতানোর জন্য।” প্রতিপক্ষের আলাদিনকে নিয়ে যখন আলোচনা সর্বত্র, তখন মোহনবাগান কোচ ভাবছেন গোটা নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড নিয়েই। এমনকী শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোও যেভাবে আলাদিনকে বোতলবন্দি করেছেন, সেইরকম তিনিও কি কোনও আলাদা পরিকল্পনা করবেন এই মরোক্কান ফুটবলারকে নিয়ে? সে বিষয়েও স্পষ্ট জবাব মোলিনার, “প্রত্যেক কোচের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকে। আমার কোনও আলাদা পরিকল্পনা নেই কোনও বিশেষ ফুটবলারকে নিয়ে। তবে হ্যাঁ, একটা পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। সেটা নর্থইস্টকে হারানো। আমার মনে হয়, আমরা অনেক বেশি ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছি। তবে এখনই যে কাজ শেষ হয়ে যায়নি, সেটা মাথায় রাখতে হবে।”
এই মরশুমে ইতিমধ্যেই দু’বার নর্থইস্টের মুখোমুখি হয়েছে মোহনবাগান। মোলিনা মনে করছেন, এবার নর্থইস্টের আগের থেকে বেশি তাগিদ থাকবে তাঁদের হারানোর। লিগ টেবলের শীর্ষে থাকলেও আত্মতুষ্টি যেন না আসে সেদিকেও সতর্ক রয়েছেন মোলিনা। তিনি আরও বলেন, “মরশুমের মাঝামাঝি চলে এসেছি। এখন সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে কে আছে তা নিয়ে ভাবছি না। প্রত্যেক ম্যাচে জয় চাই। বিকল্প পথ নেই।” মোহনবাগানের বিদেশি ফুটবলারদের হাতে মেরিনার্স এরিনার তরফে জামশেদপুর ম্যাচের বিশাল টিফোর ছবি তুলে দেওয়া হয়। সেই টিফোতে মোহনবাগানের বিদেশি ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। আলবার্তোদের হাতে সেই টিফোর ছবি তুলে দিলেন মেরিনার্স এরিনার সদস্যরা।