সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বার্নার্ডো সিলভার অদ্ভূত অসুখ!’ নাহ, এটা কোনও বইয়ের শিরোনাম নয়। বরং পর্তুগালের (Portugal) তারকা মিডফিল্ডারের বাস্তব পরিস্থিতির একটা বর্ণনা মাত্র। নয়তো ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সফল বার্নার্ডো কেন জাতীয় দলের জার্সিতে বড় আসরে খেলতে নেমে এমন ‘অদৃশ্য’ হয়ে যান কেন? ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে সদ্যসমাপ্ত মরশুমে ১১ গোল আর ১০ অ্যাসিস্ট আছে বার্নার্ডোর নামের পাশে। অর্থাৎ ক্লাবের জার্সিতে গোল করা বা করানো- কোনওটাই বিশেষ সমস্যা নয় তাঁর জন্য।
কিন্তু পর্তুগালের হয়ে দু’টো করে বিশ্বকাপ এবং ইউরো খেলা হয়ে গেলও কোনও গোলে সরাসরি অবদান রাখতে পারেননি এই মিডফিল্ডার! সবমিলিয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ফেললেও কোনও গোল-অ্যাসিস্ট নেই বার্নাডোর। এমনকি এবার ইউরোতে প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধেও সেভাবে নজর কাড়েনি তাঁর পারফরম্যান্স।
শনিবার রাতে তুরস্কের মুখোমুখি হওয়ার আগে বার্নার্ডোর ফর্মই সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হতে চলেছে পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজের জন্য। ইউরোয় সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নদের তালিকায় আছে তাঁর দল। কিন্তু চেক ম্যাচে মার্টিনেজের ছাত্রদের খেলা কোনওভাবেই চ্যাম্পিয়নদের মতো ছিল না। কোনওরকমে শেষবেলায় ‘সুপারসাব’ ফ্রান্সিসকো কনসেসাওয়ের গোলে তিন পয়েন্ট পায় তারা।
[আরও পড়ুন: এমবাপের অনুপস্থিতিই ফ্যাক্টর! একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ডাচদের কাছে আটকে গেল ফ্রান্স]
অবশ্য মার্টিনেজ মানছেন না যে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে তাঁর দল ভালো খেলেনি। বরং মনে করছেন, যোগ্য দল হিসাহেই চেকদের হারিয়েছে পর্তুগাল। “প্রথম ম্যাচে আমরা জিতেছি কারণ আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম নিজেদের উপর, জিততে মরিয়া ছিলাম,” বলছিলেন মার্টিনেজ, যার কোচিংয়ে প্রথমবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতল পর্তুগাল, “আমার আমলে এটাই প্রথম ম্যাচ যেখানে শুরুতে গোল খেয়েও জিতেছি। কারণ আমরা নিজেদের উপর ভরসা রেখেছিলাম। আগে গোল করলে হয়তো আরও বড় ব্যবধানে জিততাম, তিন-চার গোলে।”
প্রথম ম্যাচে ডিফেন্স শক্তিশালী করতে গিয়ে বিগড়ে গিয়েছিল পর্তুগিজ মাঝমাঠের ভারসাম্য। যা পরিস্থিতি, তুরস্কের বিরুদ্ধে ফর্মেশন বদলের পথে যাবেন মার্টিনেজ। তিন সেন্টার ব্যাকের পরিবর্তে চার ডিফেন্ডারের চেনা ছকেই দল নামাতে চলেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে জোয়াও পালিনহাকে নামিয়ে মাঝমাঠের দখল নিতে পারে পর্তুগাল। পাশাপাশি আক্রমণে রাফায়েল লিয়াওয়ের পরিবর্তে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পাশে দেখা যেতে পারে জোয়াও ফেলিক্সকে। প্রথম ম্যাচে গোল পাননি সিআর। তাঁর গোল-খিদে বড় ভরসা হতে চলেছে পর্তুগালের। সিআর নিজেও তৈরি মাঠে নামার জন্য। তুরস্ক ম্যাচে প্রস্তুতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘একতা, ফোকাস এবং দায়বদ্ধতা!’ ইউরোয় শেষ তিন সাক্ষাতেই তুরস্ককে হারিয়েছে পর্তুগাল। শনিবার জিতলেই ইউরোর নকআউটে পৌঁছে যাবেন রোনাল্ডোরা।