সুমন করাতি, হুগলি: বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতে হুগলির গর্ব এখন চাকু মান্ডি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সন্তোষ ট্রফি জয়ের গৌরব অর্জন করেছেন হুগলির আখনা কুরেপুকুর গ্রামের যুবক চাকু মান্ডি। সদ্যসমাপ্ত সন্তোষ ট্রফি প্রতিযোগিতায় বাংলার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, আর সেই বিজয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন চাকু মান্ডি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলার এই সাফল্য শুধুমাত্র রাজ্যের নয়, হুগলি জেলার নামও উজ্জ্বল করেছে।
ছোটবেলায় আখনা কুরেপুকুর গ্রামের একজন সাধারণ ছেলে হিসেবে বেড়ে ওঠা চাকুর। পড়াশোনা শুরু করেন স্থানীয় আখনা স্কুলে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলের প্রতি চাকুর আগ্রহ ছিল প্রচণ্ড। পাড়ার মাঠ থেকেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর হয় তাঁর। পাড়ার ফুটবল মাঠে অনুশীলন করতে গিয়েই প্রথমবার সকলের নজর কাড়েন চাকু। পরে নিজের দক্ষতায় আরও শান দিতে চাকু প্র্যাকটিস শুরু করেন পান্ডুয়া মাঠে। সেখান থেকেই তাঁর ফুটবলের প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ে। পায়ের জাদু দ্রুতই তাঁকে পৌঁছে দেয় কলকাতার বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলোর দোরগোড়ায়। সুযোগ মেলে সন্তোষ ট্রফিতেও।
বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে অংশগ্রহণ এবং অধিনায়কত্ব করা চাকুর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলার দল ট্রফি জিতেছে। ছেলের সাফল্যে চাকুর পরিবার এবং গ্রামবাসীরা অত্যন্ত গর্বিত। বাড়ির একমাত্র ছেলে হিসেবে চাকু তাঁর পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তবে এই গৌরব কেবল চাকুর নিজের নয়,বরং গোটা হুগলি জেলার। সঠিক পরিশ্রম করলে প্রতিভা আকাশ ছুঁতে পারে, সেই কথাই প্রমাণ করেছেন হুগলির আখনা কুরেপুকুর গ্রামের চাকু।
আগামী দিনে বাংলার হয়ে আরও বড় বড় মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেন চাকু। ভারতীয় ফুটবলে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে চান। অন্যদিকে তাঁর প্রতিবেশীরা চান, গ্রামবাংলার ছেলেরা ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হোক এবং নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করুক। আর তাদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক চাকুর এই সাফল্যের গল্প। তাঁর জেদ, কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প নতুন প্রজন্মকে শিখিয়ে দেবে, কীভাবে প্রতিকূলতাকে জয় করতে হয়, এমনটাই মনে করছেন আখনা কুরেপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা।