সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েতের নিদান ছিল৷ ধর্ষককেই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল ১৯ বছরের মেয়েটি৷ বিয়ের সাত মাস পর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হরিয়ানার জগধরি থানায়৷
২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে ধর্ষণের শিকার হন জগধরি এলাকার ওই যুবতী৷ অভিযোগ ওঠে স্থানীয় অনুপ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ জগধরি থানাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷ মামলাটি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছিল৷ কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের চাপে ধর্ষককেই বিয়ে করতে হয় যুবতীকে৷
চলতি বছরের মার্চ মাসে বিয়ে হয় দু’জনের৷ জুলাই মাসে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়া হয় অনুপের উপর থেকে৷ অভিযোগ, এরপর থেকেই যুবতীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে অনুপ ও তার পরিবার৷ পণ এবং মামলায় খরচ হওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে৷ শেষে বিয়ের সাত মাথায় যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ অনুপের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার মা৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে জগধরি থানার পুলিশ৷