সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের এক অভিজাত আবাসনে মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
[স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, নাম জড়াল প্রাক্তন কেকেআর ক্রিকেটারের]
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চক্ষু বিশেষজ্ঞ। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ব্রিটেনে থাকতেন । কয়েক বছর হল শহরের এসেছিলেন তাঁরা। থাকতেন শহরের এক অভিজাত আবাসনে। সোমবার সেই আবাসনের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় শ্রীময়ী চট্টোপাধ্যায় নামে ওই চিকিৎসকের দেহ। স্বামী সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি ও তাঁর এগারো বছরের মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। বিকেল চারটে নাগাদ ফেরেন তাঁরা। কিন্তু, অনেক ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। এরপর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন সন্দীপবাবু। দেখেন, ওড়না জড়ানো অবস্থায় জানলার গ্রিল থেকে ঝুলছে শ্রীময়ীদেবীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর দেহ নামিয়ে সন্দীপবাবুই পুলিশে খবর দেন।
[কোটি কোটি টাকার বাতিল নোট বদল শহরের পোস্ট অফিসে, তদন্তে সিবিআই]
কিন্তু, কীভাবে মৃত্যু হল ওই মহিলা চিকিৎসকের? তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছে? তদন্তে নেমে এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তির মধ্যে ছিলেন শ্রীময়ী চট্টোপাধ্যায়। তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিররকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে মেয়ের উদ্দেশ্যে শ্রীময়ীদেবী লিখেছেন, ‘ভালবাসার প্রতিদান পেলাম না। তাই চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।‘ কিন্তু, জানলার গ্রিল থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে কীভাবে আত্মহত্যা করা সম্ভব, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। চিরকুটের হাতে লেখাটিও শ্রীময়ীদেবীর কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাহলে কী নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হতে হল শ্রীময়ীদেবীকে? সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবারই নমুনা সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এরপরই এই ঘটনায় তদন্তের কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে আশা করছে পুলিশ।
[দিনের পর দিন ভ্রাতৃবধূকে ধর্ষণ, ধৃত ভাশুর]
The post শহরের অভিজাত আবাসনে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ধন্দে পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.