রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বছরখানেক আগে দল ছেড়েছিলেন। সেই নেতার নাম বিজেপির নতুন জেলা কমিটিতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)।
ব্যাপারটা ঠিক কী? আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ভাস্কর দে। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু গতবছর জুন মাসে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। তারপর আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি ভাস্করবাবু। বুধবার বিজেপির জেলা কমিটি প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষুচড়কগাছ। দেখা যায়, সেই তালিকায় সহ-সভাপতি পদে নাম রয়েছে ওই প্রাক্তন বিজেপি নেতার। প্রথমদিকে না বুঝতে পারলেও পরবর্তীতে ভাস্করবাবু ফোন নম্বর মিলিয়ে দেখেন, তাঁর নামই রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাঁওতালি সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি, পদ্মশ্রী পেলেন ঝাড়গ্রামের কালীপদ সোরেন]
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভাস্কর দে। তিনি বলেন, “আমি গত বছর দল ছেড়েছি। কেন একবছর পর জেলা কমিটিতে আমার নাম রাখা হবে? আমি বিজেপির মতো দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না। যে দলে টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া সেখানকার কোনও পদ আমার চাই না। আমি মানুষের উন্নয়নের পক্ষে।” এরপরই রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভরাডুবির পর থেকে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তবে এখন নজর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল বিজেপির কাছে মোটের উপর সন্তোষজনক ছিল। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। পরে সাংসদরা দলবদল করায় সেই সংখ্যা আরেকটু বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের ভোটে এই সংখ্যা আরও বাড়ানোই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের। সব দিক বিবেচনা করে আগেই জেলার সভাপতি নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। অবশেষে বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির কয়েকটি জেলা কমিটির সদস্যদের নাম। নাম ঘোষণা হতে না হতেই একাধিক অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে।