রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: এবার বাংলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (CAB) অন্দরে ঢুকে পড়ল করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত বর্তমানে বাংলার সিনিয়র দলের অন্যতম নির্বাচক সাগরময় সেন শর্মা। ১৯৮৯-৯০-এর রনজিজয়ী বাংলা দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। এই প্রথম বাংলায় কোনও ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের শরীরে থাবা বসাল কোভিড-১৯।
শুক্রবারই জানা যায় তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাস। আসলে এর আগে তাঁর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভরতি ছিলেন হাসপাতালে। তবে সম্প্রতি তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীর থেকেই তাঁর শরীরে ঢুকেছে ভাইরাস। যদিও তাঁর দেহে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। তবে টেস্ট করানোর পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আপাতত তাঁকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, আশঙ্কা প্রকাশ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার]
সিএবির তরফে খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলা হয়েছে, সাগরময়বাবু করোনায় আক্রান্ত জানার পর বৃহস্পতিবারই সিএবিতে রাখা তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে এমন খবরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই সতর্ক হচ্ছে সিএবি। ক্রিকেটার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাই একাধিক গাইডলাইন আনতে চলেছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা।
জানা গিয়েছে, এবার থেকে ট্রেনিংয়ের সময় ও ড্রেসিংরুমে থাকাকালীন পুরনো নিয়ম বদলে ফেলতে হবে ক্রিকেটারদের। ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন প্রত্যেক ক্রিকেটারকে খেলার ব্যক্তিগত সরঞ্জাম দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাঁরা একে অন্যের জিনিস ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া পুরো টিমকে একসঙ্গে অনুশীলনে নামানো হবে না। গ্রুপে ভাগ করে হবে ট্রেনিং। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। বদলে যাচ্ছে ড্রেসিংরুমের নিয়মকানুনও। আগে ড্রেসিংরুমে খেলার আগে ও পরে জার্সি বদলে অন্য পোশাক পরে নেওয়া যেত। কিন্তু এখন থেকে জার্সি পরেই আসতে হবে। অনুশীলনের পরও তা আর ড্রেসিংরুমে পালটে নেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রোজ খাবারের বন্দোবস্ত করছেন শেহওয়াগ, মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা ভাজ্জির]
The post এবার বাংলা ক্রিকেটের অন্দরে করোনার হানা, আক্রান্ত বর্তমান সিনিয়র দলের নির্বাচক appeared first on Sangbad Pratidin.