সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে হাসপাতাল থেকে ‘ছুটি’ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon Chatterjee)। পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে স্বাক্ষর করেই হাসপাতাল থেকে ‘ছুটি’ নিলেন তিনি। শনিবার বিকেল থেকেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করার তৎপরতা শুরু হয়েছিল। সেই তৎপরতার ফল মিলল রাতে। আপাতত গোলপার্কের বাড়িতেই গৃহবন্দি থাকবেন তিনি।
এদিন রাত পৌনে ন’টা নাগাদ হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সই-সাবুদ সেরে হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি। গন্তব্য প্রেসিডেন্সি জেল। সেখানে তিনি আরও কিছু নিয়মকানুন মেটান বলে খবর। আদালতের নির্দেশ মেনে কোন বাড়িতে বন্দি হয়ে থাকবেন তার বিস্তারিত তথ্য দেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তার পরই গোলপার্কের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত দশটা নাগাদ গোলপার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছন প্রাক্তন তৃণমূল নেতায
[আরও পড়ুন: টাকা না পেয়ে বান্ধবীর অশ্লীল ছবি ফেসবুকে আপলোড করে ধৃত ১]
নারদ মামলা ধৃত চারজনকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তাঁদের মধ্যে একমাত্র বাড়ি ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। বাকি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেম। তাঁদের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখতে তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। সূত্রের খবর, সেই বোর্ড এখনই তিন নেতাকে বাড়ি যেতে দিতে রাজি ছিল না। তবে নিজের দায়িত্বে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন শোভনবাবু। শনিবার বিকেলে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে সওয়াল করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানিয়েছিলেন, নিজস্ব রিস্ক বন্ডে বাড়ি ফিরতে চান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বিভিন্ন বিভাগে ৫টি চিঠি লেখা হয়।
[আরও পড়ুন: বাড়ি যেতে চান শোভন, ছাড়তে নারাজ হাসপাতাল, কী বলছেন বৈশাখী?]
উডবার্ন ওয়ার্ডের বারান্দা থেকে বাড়ি ফেরার কথা জানিয়েছিলেন শোভনবাবুও। শেষপর্যন্ত সন্ধে গড়াতে পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে স্বাক্ষর করে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান শোভন। এ প্রসঙ্গে বৈশাখীদেবী জানান, “জেল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেপ মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। দিন কয়েক আগে শোভনের দাদা মারা গিয়েছেন। ওঁর অশৌচ চলছে। ভীষণ মুষরে পড়েছেন। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।”