গৌতম ভট্টাচার্য: কোভিড আক্রান্ত সুভাষ ভৌমিক শনিবার ভোররাতে চলে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ট সতীর্থ এবং শিল্পী ফুটবলার হিসেবে কলকাতা ময়দানে চিরখ্যাত সুরজিৎ সেনগুপ্ত হাসপাতালে ভরতি। তিনিও করোনা আক্রান্ত। অক্সিজেনের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে কমেছিল বলে রোববার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ফোন করে জানা গেল প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর।
এখনও ডাবল অক্সিজেন চলছে তাঁর। অক্সিজেনের চাহিদা মিনিটে ১৫ লিটারের বেশি। ফুসফুস কিছুটা আক্রান্ত। অতীতে হার্টে দুটো স্টেন্ট বসেছিল। সেই বিষয়টাও চিকিৎসকদের উদ্বেগে রেখেছে। তাই তাঁকে সরাসরি এইচডিইউ-তে রাখা হয়েছে। মোটামুটিই সুস্থ ছিলেন সুরজিৎ। প্রিয় সিনিয়র সুভাষ ভৌমিক চলে যাওয়ার পর খবরের কাগজে তাঁকে নিয়ে লেখেনও। ডিজিটাল মাধ্যমে বাইটও দেন। তারপর অসুস্থতা বাড়ায় গল্ফগ্রীনের বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট রয় কৃষ্ণদের, ওড়িশার কাছে আটকে গেল এটিকে মোহনবাগান]
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এদিন সুরজিৎ সেনগুপ্তর অসুস্থতার খবর পাওয়ামাত্র সরাসরি ফোন করেন ফুটবলারকে। বলেন, “আমাদের তরফে সবরকম সহযোগিতা আপনি পাবেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।” সুরজিতের অসুস্থতা নিয়ে খবর জানাজানি হওয়ার পর ফুটবল মহলে উদ্বেগের ছায়া নেমে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে থাকেন।
প্রায় ৩৬ বছর আগে ফুটবল জীবন সাঙ্গ করলেও সেই সময়কার ফুটবল অনুরাগীদের মধ্যে সুরজিতের (Surojit Sengupta) জনপ্রিয়তা অপরিসীম। দলের বহু জয়ের নেপথ্য নায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা পরবর্তীতে কোচ হলেও তিনি আর ময়দানমুখী হননি। ভারতের সেরা সব ডিফেন্ডারদের যিনি ঘুম ছাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি কোভিডের হিংস্র ট্যাকেলে গুটিয়ে যাবেন না, জানাই কথা। অনুরাগীদের আশা, ফুটবল মাঠের মতো শিগগিরই লড়াই জিতে বেরিয়ে আসবেন সুরজিৎ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, খুব দরকারে ফোনে কথা বলছেন সুরজিৎ। অল্পসময়ের জন্য টিভিও দেখেছেন।