স্টাফ রিপোর্টার: শচীন তেণ্ডুলকর। ইউসুফ পাঠান (Yousuf Pathan)। এস বদ্রীনাথ। সদ্য সমাপ্ত রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলা যে সমস্ত ক্রিকেটাররা করোনা পজিটিভ হয়েছেন, এ বার এই তালিকায় যুক্ত হলেন ইরফান পাঠান (Irfan Pathan)। ক্রিকেটবিশ্বে উদ্বেগ বাড়িয়ে ইরফান জানিয়ে দিলেন তিনিও করোনা আক্রান্ত। তবে, ইরফানের শরীরে করোনার উপসর্গ তেমন গুরুতর নয়। মৃদু উপসর্গ নিয়ে আপাতত আইসলেশনে আছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অল-রাউন্ডার।
[আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে IPL-এর ছাড়পত্র পেলেন শাকিব, রবিবারই যোগ দিলেন নাইট শিবিরে]
সোমবার টুইটারে দুঃসংবাদটা নিজেই দিয়েছেন ইরফান। তিনি জানান, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত। তবে আমি উপসর্গহীন। নিজের বাড়িতেই নিভৃতাবাসে আছি। আমার সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। সবাইকে একটাই আবেদন করব মাস্ক পরুন আর দূরত্ব বিধি বজায় রাখুন।’ সেই সঙ্গে গত কয়েক দিনে যারা যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার অল-রাউন্ডার। ইরফানের এ হেন পোস্টের পর রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ (Road Safty World Series) নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চলতি বছর দ্বিতীয়বার, পোলার্ডের পর এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকালেন এই ক্রিকেটার]
এর আগে গত ২৭ মার্চ করোনার কবলে পড়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেণ্ডুলকর। তারপরই একে একে করোনার কবলে পড়ার কথা জানান ইউসুফ পাঠান এবং এস বদ্রীনাথ। এঁরা প্রত্যেকেই রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে ইন্ডিয়ান লেজেন্ডস টিমের অংশ ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ছত্তিশগড়ে আয়োজিত ওই টুর্নামেন্টে বায়ো-বাবলের প্রটোকল সঠিকভাবে মানা হয়েছিল তো? ওই টুর্নামেন্টটি আবার দর্শকদের উপস্থিতিতে খেলা হয়েছিল। সুতরাং, সেখান থেকে প্রচুর মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ শুরুর পর করোনা সংক্রমণের প্রভাবেই বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরে করোনার প্রকোপ কমতেই তা ফের শুরু করা হয়ে। আর তাতেই মিলছে বড় বিপদের ইঙ্গিত।
এদিকে করোনার কবলে পড়েছেন ভারতীয় মহিলা দলের অন্যতম সেরা তারকা তথা টি-২০ দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও। তাঁর শরীরেও করোনার মৃদু উপসর্গই রয়েছে। আপাতত তিনিও হোম আইসোলেশনে।